কলকাতা, 29 জানুয়ারি: ছেলেদের সঙ্গে প্র্যাকটিস করেই অনন্য তিতাস সাধু ৷ অনূর্ধ্ব-19 মেয়েদের বিশ্বকাপ ফাইনালে (U-19 Womens T20 World Cup Final) বাংলার মেয়ের দাপুটে পারফরম্যান্সেই পরাজিত ইংল্যান্ড। হুগলির চুঁচুড়ার মেয়ে তিতাসের বাবা রণজিৎ সাধু নিজেও ছিলেন অ্যাথলিট। তবে ক্রীড়াবিদের মেয়ে ক্রিকেটে আগ্রহী। তার ক্রিকেট প্রতিভা প্রথম নজরে পড়ে বাংলার রঞ্জি দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের। তারপর থেকেই গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন তিনি। মহিলা ক্রিকেটার হলেও তিতাসকে নিয়মিত ছেলেদের সঙ্গে খেলাতেন কোচ।
"অনূর্ধ্ব-15, অনূর্ধ্ব-17 বিভাগের টুর্নামেন্টে তিতাস ম্যান অফ দ্য ম্যাচ, ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছে। বিশ্বকাপ চলাকালীন রাতের দিকে ওর সঙ্গে কথা হত। ফাইনালের আগেও হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই সাফল্য দেখে ভালো লাগছে। অদ্ভুত একটা তৃপ্তি" বললেন, প্রিয়ঙ্কর। প্রায় একইসঙ্গে যোগ করলেন, "গড়ে তুলতে একটা পরিবেশ পরিস্থিতি দরকার। তিতাসকে দেখে মনে হয়েছিল লম্বা রেসের ঘোড়া। তখনই আমি শিবশঙ্কর পালকে দেখতে বলেছিলাম। সেই ভরসা যে মিথ্যে ছিল না তা দেখা যাচ্ছে।"
তিন বঙ্গকন্যার হাত ধরে বিশ্বকাপ জিতল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-19 মহিলাদের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে কার্যত গুড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল ভারত। তিন বাঙালি ক্রিকেটার রিচা ঘোষ, ঋষিতা বসু ও তিতাস সাধু। এই 3 ক্রিকেটারকেই খুব কাছ থেকে দেখেছেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার শিবশঙ্কর পাল। তিন বিশ্বজয়ীকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলা মহিলা দলের প্রাক্তন কোচও। শিবশঙ্কর বলেন, "ঝুলনের পর মেয়েদের ক্রিকেটে আরও বাঙালি ক্রিকেটার উঠে আসছেন। সেটা দারুণ ব্যাপার।"