হায়দরাবাদ, 2 অক্টোবর: বিশ্বকাপের দামামা বেজে গিয়েছে ইতিমধ্যেই ৷ অপেক্ষা আর মাত্র 72 ঘণ্টার ৷ 5 অক্টোবর ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হতে চলেছে ক্রিকেটের মহাযুদ্ধ ৷ ইতিমধ্যেই 12 বার বিশ্বজয়ের লড়াইয়ে নেমেছে ভারত-ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়ার মতো দলগুলি ৷ এক ডজন বিশ্বকাপের ডায়েরির পাতা ওলটাতে গেলে বেরিয়ে আসবে নানা কাহিনি, নানান স্মৃতি ৷ কিন্তু বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র একটিই এমন অসামান্য ইনিংস রয়েছে যাঁর কোনও ভিডিয়ো ফুটেজ আপনি চাইলেও দেখতে পাবেন না ৷ তবে সুনীল গাভাসকরও একবাক্যে স্বীকার করে নেন, তাঁর দেখা 'শ্রেষ্ঠ ওয়ান ডে ইনিংস' ছিল এটাই ৷ হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, আমরা কথা বলছি আজ থেকে ঠিক 40 বছর আগে কপিল দেব নিখাঞ্জের সেই মাস্টারক্লাস ইনিংসটি নিয়ে ৷ 175 রানের এই ইনিংস হয়তো এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় এখন বেশ পিছনে ৷ কিন্তু একথা ঠিক যে কপিল এই ইনিংস না খেললে অধরা থেকে যেত 1983 ভারতের বিশ্বজয়ের স্বপ্ন ৷ আসুন আজ ফিরে দেখি সেই অদ্ভুত ইনিংসের স্মৃতি ৷
কি হয়েছিল ভারত বনাম জিম্বাবোয়ে ম্যাচে?
ম্যাচের ফলাফল জেনে নেওয়ার আগে প্রেক্ষাপটটা বুঝে নেওয়া এক্ষেত্রে ভীষণ জরুরি ৷ 20 মার্চের এই ম্যাচের আগে ভারতে পরিস্থিতি ছিল একটু সংকটজনক ৷ কপিল দেব নিজেই একটি ইন্টারভিউতে জানান, পরের পর্বে যেতে হলে তাঁদের জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে বড় রান করতেই হত ৷ যদিও 83'র বিশ্বকাপ সফর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জয় দিয়েই শুরু করেছিল কপিলের দল ৷ কিন্তু পরবর্তীতে সেই ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধেই 66 রানে হারতে হয় ভারতকে ৷ যার জেরে ভারত বনাম জিম্বাবোয়ের এই ম্যাচটি ছিল ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ ৷
টসে জিতে ট্রেন্টব্রিজ ওভালের সবুজ পিচে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় দল ৷ কিন্তু মাঠে নামতেই পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যায় ৷ কয়েকদিন আগেই যে জিম্বাবোয়েকে 5 উইকেটে হারিয়েছিল ভারত তাদের বিরুদ্ধেই 17 রানে 5 উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় কপিলের দল ৷ সৌজন্যে জিম্বাবুয়ের দুই মিডিয়াম পেসার পিটার রসন এবং কেভিন কুরান ৷ পিটার ফিরিয়ে দেন সুনীল গাভাস্কর (0 রান), মহিন্দর অমরনাথ (5 রান) এবং যশপাল শর্মাকে (9 রান) ৷ আর অন্য়দিকে কেভিন কুরান শিকার করেন কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত (0 রান) এবং সন্দীপ পাতিলকে(1 রান) উইকেট ৷
এরপরেই মাঠে শুরু হয় 'হরিয়ানা হ্যারিকেন'-এর দাপট ৷ পরে কপিল জানিয়েছেন তিনি নাকি ঠিক করে স্নান করারও সুযোগ পাননি সেদিন ৷ তিনি বাথরুমে গিয়েছিলেন ভারতীয় দলের ব্যাটিং শুরুর সময় ৷ ঠিক মতো স্নান শেষ হওয়ার আগেই ছ'নম্বর ব্যাটার হিসাবে মাঠে নামার ডাক পড়ে যায় তাঁর ৷ অর্থাৎ তিনি ভালো করে তৈরি হওয়ার সুযোগও পাননি ৷ তিনি পরে জানিয়েছেন, 'দুর্ঘটনা' জীবনে এভাবেই ঘটে ৷