নয়াদিল্লি, 5 সেপ্টেম্বর: একজন ক্রীড়াবিদের কখনই রাজনীতিতে আসা উচিত নয় ৷ আর সেটা কেউ করলে তা করে কেবলমাত্র অহংকার এবং ক্ষমতার খিদের জন্য ৷ টুইটারে এমনই বিস্ফোরক মত প্রকাশ করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ ৷ এক অনুরাগীর প্রশ্নে এই কথাগুলি বলেন তিনি ৷ উল্লেখ্য, দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ সরিয়ে কেবলমাত্র ‘ভারত’ রাখা নিয়ে সেহওয়াগের পোস্টের প্রেক্ষিতে, একটি টুইট করেন বীরুর এক অনুরাগী ৷ সেই অনুরাগীর বক্তব্য ছিল, ‘‘আমি ভেবেছিলাম গৌতম গম্ভীরের আগে আপনি রাজনীতিতে আসবেন ৷’’ তার উত্তরে সেহওয়াগোচিত স্বভাবে সেটিকে সপাটে ওভার বাউন্ডারি হাঁকান প্রাক্তন এই ওপেনার ৷
সেওয়াগ সেই অনুরাগীর পোস্টটি রি-টুইট করে লেখেন, ‘‘আমার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই ৷ দেশের দুই বড় রাজনৈতিক দলের তরফে আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল শেষ দুই নির্বাচনে ৷’’ বাইশ গজে তাঁর বেপরোয়া এবং বিধ্বংসী সব ইনিংসের মতোই এর পরের কথাগুলো লেখেন প্রাক্তন ওপেনার ৷ সেহওয়াগের মতে, ‘‘আমার মতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিনোদনকারী এবং ক্রীড়াবিদদের রাজনীতিতে আসা উচিত নয় ৷ আর সেটা যদি কেউ করেন, তাহলে তা কেবলমাত্র অহংকার এবং ক্ষমতার খিদের জন্য ৷ তাঁরা মানুষের জন্য খুব কমই সময় বের করতে পারেন ৷’’
আর গম্ভীরের প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে সেহওয়াগের এই বিস্ফোরক জবাবে স্বভাবতই বিতর্ক তৈরি করেছে ৷ বিশেষত, ভারতের প্রাক্তন দুই ওপেনারের মধ্যে সম্পর্ক যে খুব একটা মধুর নয়, তা আরও স্পষ্ট হল বলে মনে করছে ক্রীড়ামহল ৷ বিশেষত, ‘অহংকার এবং ক্ষমতার লোভে রাজনীতি’, সেহওয়াগের এই বিতর্কিত মন্তব্যের আগুন এখানেই নিভে যাবে, তেমনটা মনে করাও বোকামি হতে পারে ৷