ওয়াংখেড়ে, 24 অক্টোবর: ‘‘প্রথমে ব্যাট করলে 500 রান টার্গেট, রান তাড়া করলে 150 রানে প্যাকেট ৷’’ দক্ষিণ আফ্রিকা-বাংলাদেশ ম্যাচের আগে থেকেই সোশাল মিডিয়া ছেয়ে গিয়েছিল পদ্মাপাড়ের বিভিন্ন গ্রুপের মিমে ৷ ম্যাচ শুরুর পর থেকে ক্রমশ প্রাসঙ্গিক হয়েছে সেটি ৷ 383 রান টার্গেট করতে নেমে 81-6 ৷ মুম্বইয়ে যখন লজ্জার হারের প্রহর গুনছেন শাকিব আল-হাসান-মুশফিকুর রহিমরা, তখনই ম্যাচের রঙ বদলাতে শুরু করলেন মাহমুদুল্লাহ ৷ বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত 149 রানের বিরাট ব্যবধানে হারলেও 111 রান করে আলোচনায় উঠে এলেন ড্রেসিংরুমে ফেরা রিয়াদ ৷
চার নম্বর বিশ্বকাপে নামা মাহমুদুল্লাহ বরাবরই উপেক্ষিত ৷ ঢাকা পড়েছেন তামিম ইকবাল, শাকিব আল-হাসান, মুশফিকুর রহিমদের ছায়ায় ৷ তাঁর ব্যাটেই এদিন একটু হলেও ম্যাচে ফিরেছিল বাংলাদেশ ৷ প্রোটিয়াদের জয়ের থেকে বেশি আলোচনায় মাহমুদুল্লাহর চোয়ালচাপা লড়াইটাই ৷ বিরাট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পদ্মাপাড়ের টপ-অর্ডারের অবদান 42 রান ৷ তানজিদ হাসান (17 বলে 12), লিটন দাস (44 বলে 22), নাজমুল হোসেন শান্ত (1 বলে 0), শাকিব আল-হাসান (4 বলে 1), মুশফিকুর রহিম (17 বলে 8) ব্যর্থ ৷ সেখান থেকেই অভিজ্ঞতা ও টেল-এন্ডারদের সঙ্গী করে খেলাটা ধরার চেষ্টা চালিয়ে গেলেন মাহমুদুল্লাহ ৷