সেঞ্চুরিয়ন, 28 ডিসেম্বর : সুপার স্পোর্ট পার্ক স্টেডিয়ামে মহম্মদ শামির আগুনে বোলিং ৷ সঙ্গ দিলেন অন্য পেসাররাও ৷ যার জেরে মাত্র 62.3 ওভারে 197 রানে শেষ হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার লড়াই ৷ আবার 44 রান দিয়ে 5 উইকেট শিকার করার সঙ্গে সঙ্গেই 200 উইকেটেরও মালিক হয়ে গেলেন শামি (Shami takes a 5 wickets haul a scatteres the South African Batting ) ৷ টেস্ট ক্রিকেটে কপিল দেব, ইশান্ত শর্মাদের পর মহম্মদ শামি হলেন 11 তম ভারতীয় যিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন ৷
মায়াঙ্কের সুন্দর হাফসেঞ্চুরি এবং রাহুলের সেঞ্চুরির দৌলতে সোমবার 4 উইকেটের বিনিময়ে 278 রান সংগ্রহ করে চালকের আসনে ছিল বিরাট বাহিনী ৷ কিন্তু মঙ্গলবার সকালে লুঙ্গি এনগিডি এবং রাবাডাদের বিপক্ষে একেবারেই এঁটে উঠতে পারেননি রাহুল, রাহানে, ঋষভরা ৷ যার জেরে মাত্র 327 রানেই অল আউট হয়ে যায় ভারত ৷
ম্যাচে নিজেদের আসন মজবুত করতে হলে ভারতের দরকার ছিল আঁটোসাঁটো বোলিং ৷ কার্যত ডাক্তারের সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন শামি, বুমরাহ এবং সিরাজরা ৷ এদিন ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং ধসের মুখে পরে দক্ষিণ আফ্রিকা ৷ অধিনায়ক এলগার, মার্করাম কিংবা পিটারসেন ক্রিজে সকলেই ছিলেন ক্ষণিকের অতিথি ৷
আরও পড়ুন : এনগিডি-রাবাদার দাপটে বড় রান করতে ব্যর্থ ভারত, পাল্টা আঘাত বুমরাহদের
একমাত্র বাভুমার (52) অর্ধশতরানের হাত ধরে তাঁরা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই, তবে শামি তাঁকে সাজঘরের রাস্তা দেখাতেই ভেঙে পড়ে প্রোটিয়া শিবির ৷ ভারতের হয়ে একদিকে যেমন 5 উইকেট শিকার করেন মহম্মদ শামি, তেমনি দুটি করে উইকেট পান শার্দূল এবং বুমরাহ ৷ একটি উইকেট দখল করেন সিরাজ৷ আপাতত দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে 1 উইকেট হারিয়ে 16 রান সংগ্রহ করেছে ভারত ৷ দক্ষিণ আফ্রিকার তুলনায় এই মুহূর্তে 146 রানে এগিয়ে রয়েছে বিরাট বাহিনী ৷ ক্রিজে রয়েছেন কে এল রাহুল এবং শার্দূল ঠাকুর ৷