কলকাতা, 25 জুন: প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের চল্লিশ বছর পূর্তি আজ ৷ নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত দেশ ৷ সেদিনের নায়করা অর্থাৎ কপিল ডেভিলসের সদস্যরা নিজেদের মতো করে উৎসব করছেন আজ ৷ ভারত থেকে একমাত্র ফটোগ্রাফার হিসেবে 1983 বিশ্বকাপে উপস্থিত ছিলেন শ্রেনিক শেঠ ৷ এখন আর সেভাবে ছবি তোলেন না ৷ তবে চল্লিশ বছর পরেও প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্মৃতি টাটকা তাঁর মনে ৷ দেশের প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের অনেক অজানা গল্পের হদিশ দিলেন প্রবীণ এই চিত্র সাংবাদিক ৷
83-র বিশ্বকাপ জয়ের পূর্বাভাস আগের বেশ কয়েকটি ম্যাচ দেখে পেয়েছিলেন শ্রেনিক শেঠ ৷ তিনি বলেন, “দলটির দিকে তাকালে দেখতে পাবেন সাতজন অলরাউণ্ডার ছিল ৷ সেবার কপিল দেবরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও জিম্বাবোয়েকে হারিয়েছিল ৷ ফলে দলটির মধ্যে একটা বিশ্বাস গড়ে উঠেছিল ৷ তাই ফাইনালে ভারত সহজে ছাড়বে না এটা মনে হয়েছিল ৷ অনেকেই জানে না সেবার ফাইনালের আগে আবিদ আলিকে আমেরিকা থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল ৷ যাতে ওনার ইংল্যান্ডে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে পরামর্শ পাওয়া যায় ৷ সেসময় লর্ডসে বোলিং মেশিন ছিল ৷ ক্যারিবিয়ান পেসারদের সামলানোর জন্য ভারতীয় দল বোলিং মেশিনের সামনে প্র্যাকটিস করেছিল ৷”
বর্তমান ভারতীয় দল স্পনসরহীন ভাবা যায় না ৷ সেই সময় ভারতীয় দলের জন্য কোনও স্পনসর ছিল না ৷ শ্রেনিক বলছিলেন, “ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স যাওয়া-আসার খরচ স্পনসর করেছিল ৷ আর কলকাতার টি-বোর্ড কিছু টাকা দিয়েছিল ৷ সেদিক থেকে টি-বোর্ডকে স্পনসর বলা যায় ৷ ওই দলে বেশ কয়েকজন নেপথ্য কারিগর ছিলেন ৷ যেমন যশপাল শর্মা, মহিন্দর অমরনাথ, কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত, মদনলাল ৷ পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে মহিন্দর বল এবং ব্যাট হাতে পারফরম্যান্স করেছিলেন তা নয় ৷ পুরো দলের ফিটনেস কীভাবে বজায় থাকবে সেটাও দেখতেন ৷ 83’র বিশ্বকাপ জয় পুরো দলগত সংহতির ফসল বলা যেতে পারে ৷’’