কাবুল, 21 ডিসেম্বর: নারী শিক্ষায় তালিবানি ফতোয়া জারি হয়েছে ৷ 2021 সালের 14 অগস্ট আফগানিস্তানের (Afghanistan) দখল নেওয়ার পর তালিবান জানিয়েছিল, মেয়েদের শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষায় কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে না ৷ কিন্তু, প্রায় দেড় বছরের মাথায় সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে নিজেদের আসল চেহারা দেখিয়েছে তালিবান ৷ এ নিয়ে সরব হলেন আফগানিস্তানের ক্রিকেটার রাশিদ খান (Rashid Khan Opposes Taliban Fatwa on Girls Higher Education) ৷ নারী শিক্ষার স্বপক্ষে বলতে গিয়ে, ‘মা’-কে প্রথম মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে তুলনা করেছেন রাশিদ ৷
এদিন রাশিদ খান তাঁর টুইটারে পস্তু ভাষায় একটি পোস্ট করেছেন ৷ যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘‘আল্লাহ বলেছেন, জ্ঞান অন্বেষণ প্রত্যেকের কর্তব্য ৷ এতে কোনও সন্দেহ নেই নারীদের নিয়েই সমাজের অর্ধেকটা ৷ আর নারীরাই সমাজের ভিত্তি ৷ তিনি সমস্ত জাতি (বর্ণ)-র শিক্ষক এবং পালক ৷ নারী (মা) প্রথম মাদ্রাসা যেখানে মানুষের ব্যক্তিত্বের গঠন ও বিকাশ হয় ৷ অতএব, যে সমাজ তাঁর সন্তানদের অজ্ঞ ও নিরক্ষর নারীদের হাতে ছেড়ে দিতে চাইছে, সেই সমাজের আগামী প্রজন্মের থেকে পরিশ্রম আশা করা যায় না ৷’’
প্রসঙ্গত, তালিবানরা প্রথম থেকেই ইসলামিক আইন অর্থাৎ শারিয়া মেনে আফগানিস্তানে শাসন করছিল ৷ এদিন একটি বৈঠকে তালিবান সরকার মেয়েদের উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন ৷ এর পর উচ্চশিক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্রকে একটি চিঠি দেয় ৷ সেখানে নির্দেশ বলা হয়, সরকারের মুখপাত্র জিয়াউল্লাহ হাসমি সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে যত দ্রুত সম্ভব এই তালিবান প্রশাসনের ফতোয়া কার্যকরের নির্দেশ দেন ৷