ইসলামাবাদ, 6 অগস্ট:কোনওদেশেরসঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক যাই হোক না কেন, খেলাধুলোকে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয় ৷ এমনই দাবি করে জাতীয় ক্রিকেট দলকে আসন্ন বিশ্বকাপে অংশ নিতে ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান সরকার।রবিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানিয়েছে সেদেশের বিদেশ মন্ত্রক ৷
বিশ্বকাপে ভারতে খেলতে আসবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্নচিহ্ন। নিরাপত্তার অজুহাতে বাবর আজমদের এদেশে বিশ্বরাপ খেলতে পাঠানোর ব্যাপারে বেঁকে বসছিল পিসিবি ৷ অবশেষে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল পাক সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের এদিনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,
"পাকিস্তান সরকার বিশ্বাস করে ক্রিকেটের সঙ্গে রাজনীতিকে মেশানো উচিত নয়। তাই আসন্ন বিশ্বকাপে অংশ নিতে ভারতে দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাকিস্তান বিশ্বাস করে, ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রভাব কোনওমতেই যেন আন্তর্জাতিক ক্রীড়াক্ষেত্রে বাধা না-হয়ে দেখা দেয় ৷"
আরও পড়ুন:বিশ্বকাপের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে লালবাজারে যেতে পারে আইসিসি’র প্রতিনিধি দল
যেহেতু ভারত এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে দল পাঠাতে অস্বীকার করেছিল, তাই এদিনের বিজ্ঞপ্তিতে ভারতকে সে দেশের সরকার একপ্রকার খোঁচা দিয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ৷ 2016 টি-20 বিশ্বকাপের পর এই প্রথম পাকিস্তান ক্রিকেট দল ভারত সফরে আসবে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে। শেষবার পাকিস্তান ভারতের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছিল 2012-13 সালের ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে।
তারপর থেকে এশিয়া কাপ এবং আইসিসি'র কোনও ইভেন্টেই ভারত-পাক একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। আসন্ন বিশ্বকাপে 6 অক্টোবর পাকিস্তান তাদের অভিযান শুরু করবে। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধি ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবেন বাবর আজমরা। 14 অক্টোবর আমেদাবাদে ভারত-পাক মহারণ ৷ প্রাথমিক সূচি অনুযায়ী 15 অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই ম্যাচ ৷ কিন্তু ওইদিন নবরাত্রি হওয়ায় নিরাপত্তার প্রশ্নে একদিন এগিয়ে এসেছে ভারত-পাক ম্য়াচ ৷
আরও পড়ুন:দ্বিতীয় টি-20’তে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই ভারতীয় ব্যাটারদের