কলকাতা, 28 সেপ্টেম্বর : 1965-66 সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন নিরঞ্জন শাহ (Niranjan Shah) ৷ ছ’বছর পর, 1972 সালে তিনি সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (SCA) সচিবের দায়িত্ব নেন ৷ তার পর দশকের পর দশক ধরে তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের প্রশাসনে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন ৷
শাহ তাঁর প্রশাসনিক কেরিয়ারে চারবার বিসিসিআইয়ের (BCCI) সচিব নির্বাচিত হয়েছেন ৷ একবার সহ-সভাপতিও হয়েছেন ৷ এছাড়া আইপিএলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেই কাজ করেছেন ৷ বিসিসিআইয়ের কাজকর্ম সম্পর্কে যাঁরা ওয়াকিবহাল, তাঁরা জানেন শাহ কীভাবে কাজ করেন ৷
আগামী 18 অক্টোবর বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভা ৷ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে লোধা কমিটির দেওয়া অনেক কড়া গাইডলাইন সরে গিয়েছে ৷ ফলে সেই সভার দিকে নজর রয়েছে ক্রিকেট মহলের ৷ তার আগে নিরঞ্জন শাহের সঙ্গে কথা হল ইটিভি ভারতের ৷
কী বললেন তিনি, দেখা নেওয়া যাক -
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অনেক নিয়মে ছাড় পাওয়া যাচ্ছে ৷ যেমনটা আপনারা চেয়েছিলেন ৷ এই বিষয়ে আপনার মতামত কী ?
নিরঞ্জন শাহ : আদালতের রায়ের পর বর্তমান পদাধিকারীদের আরও একবার পদে থেকে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে ৷ না হলে তাঁদের কুলিং অফে চলে যেতে হত ৷ এটা ভালো যে বোর্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে ৷
এই রায়ের ফলে কি আপনাদের প্রজন্মের ক্রিকেট প্রশাসকদের সুবিধা হল ?
শাহ : এই রায়ের আমাদের কাছে উপকারী নয় ৷ কারণ, 11 বছরের বিধিনিষেধ রয়ে গিয়েছে ৷ আমাদের অনেকেরই হয় সেই সময়সীমা পার হয়ে গিয়েছে অথবা হতে চলেছে ৷ সেভাবে আমাদের কোনও সাহায্য হল না ৷ কিন্তু ঠিক আছে ৷
আপনি কি বোর্ডের কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন ?
শাহ : যাঁরা দায়িত্ব নিচ্ছেন, তাঁদের আমাদের কাজে সাহায্য চাইছেন কি না, সেটার উপর সবকিছু নির্ভর করছে ৷ তাঁরা যদি আমাদের সাহায্য চান, তাহলে আমরা অবশ্যই মতামত জানাব ৷ এর মধ্যে কোনও দ্বিমত নেই ৷
বোর্ডের পদাধিকারী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কি কোনও রাজনৈতিক চাপ রয়েছে ?
শাহ : আমাদের উপর কোনও রাজনৈতিক চাপ নেই ৷ বোর্ড গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই চলে এবং প্রতিটি সংস্থাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করে ৷ রাজ্য সংস্থাগুলি বোর্ডে প্রতিনিধি পাঠায় ৷ আর সংখ্যাগরিষ্ঠরাই বিসিসিআই-তে সিদ্ধান্ত নেয় ৷
আপনি, এন শ্রীনিবাসন, অজয় শিরকে এবং আরও অনেকে আছেন, যাঁরা বোর্ডে ভালো কাজ করেছেন ৷ এই বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন ?