কলকাতা, 23 জুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট এবং ওয়ান ডে দলে বাংলার মুকেশ কুমার । গত কয়েক বছরের রঞ্জি ট্রফি-সহ ঘরোয়া ক্রিকেট এবং সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলে বঙ্গ পেসারের পারফরম্যান্স নজরকাড়া । তারই ভিত্তিতে 'মেন ইন ব্লু' ব্রিগেডে আগেই সামিল হয়েছিলেন । এবার টেস্ট এবং ওয়ান ডে দলেও ঢুকে পড়লেন বাংলার মুকেশ । মাঠ এবং মাঠের বাইরের কঠিন সময় বাংলার পেসারকে মানসিকভাবে কঠিন করেছে । বাবার মৃত্যুশোকও তাঁর ক্রিকেট জার্নিতে আরও প্রত্যাঘাতের রসদ যুগিয়েছে । তাই দেশের হয়ে টেস্ট এবং ওয়ান ডে দলের জন্য নির্বাচিত হওয়ার খবরে তৃপ্তি এখন মুকেশের চোখেমুখে ।
মুকেশ বলেন, “বলা হয়, যদি খেলেন তাহলে টেস্ট ম্যাচ খেলুন । টেস্ট ম্যাচ না খেললে কিছুই আপনি কিছুই খেলেননি । এখন আমার সামনে স্বপ্নপূরণের সুযোগ । আমি সবসময় টেস্ট ম্যাচ খেলতে চেয়েছি । এবার সেই লক্ষ্যপূরণের সামনে অবশেষে দাঁড়ালাম ৷” প্রতিটি শব্দে তৃপ্তি ঝরে পড়ছিল । বিহারের প্রত্যন্ত গ্রাম গোপালগঞ্জ থেকে কলকাতায় মুকেশ ছোটবেলায় এসেছিলেন বাবাকে সাহায্য করতে । তারপর ক্রিকেটের টানে মাঠের সঙ্গে সখ্যতা । ইডেনের গ্যালারির তলায় ডরমেটরিতে থেকে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার লড়াই । 2102 থেকে 2023, এগারো বছরের জার্নিতে বাধা কম আসেনি । 2019 সালে বাবা কাশিনাথ সিং প্রয়াত হন । ছেলে মুকেশকে তিনি ক্রিকেট ছেড়ে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সে যোগ দিতে বলেছিলেন । বাবার অমতে মুকেশ ক্রিকেটকে আঁকড়ে ধরেন । যদিও বাবার কথা রাখতে দু'বার সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সে পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং অকৃতকার্য হন । সেই সময় খেপ ক্রিকেট ম্যাচ খেলে বেড়াতেন মুকেশ । 500 থেকে 5000 টাকা মিলত ম্যাচ খেলে । এভাবেই 2014 সালে সিএবির ভিশন 2020-তে ট্রায়াল দিতে এসে প্রাক্তন পেসার রণদেব বোসের নজরে পড়ে যান মুকেশ । ব্যস, এই নজরে পড়াই মুকেশের ক্রিকেট গতিপথ বদলে দেয় । রণদেব বোস তদানীন্তন সিএবি সচিব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নতুন প্রতিভা হিসেবে মুকেশ কুমারের কথা জানান । এরপর সিএবির তরফে যাবতীয় পরিকাঠামো গত সুযোগ দিয়ে গড়ে তোলার কাজ করা হয় ।