হায়দরাবাদ, 3 জুলাই: 'টার্বুনেটর', নামটা তাঁকে দেওয়া হয়েছিল অজি সংবাদ মাধ্যমের তরফে ৷ তাঁর বলের বাউন্স এবং টার্নের সামনে নাকানি চোবানি খেয়েছিলেন রিকি পন্টিং, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, স্টিভ ওয়ারা ৷ অস্ট্রেলিয়া আর হরভজন সিংহের সম্পর্ক কিছুটা ব্যতিক্রমী ৷ এই পঞ্জাবি স্পিনার বারবার জড়িয়েছেন বিতর্কে ৷ আর বারবার সেই বিতর্কের উলটোদিকে দেখা মিলেছে কোনও না কোনও অজি ক্রিকেটারের ৷ কখনও সেখানে দেখা মিলিছে রিকির, কখনও বা অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের ৷ তবে হ্য়াঁ বিতর্ক যতই হোক না কেন মানতেই হবে ভাজ্জির মতো ক্রিকেটার ভারতের ইতিহাসে বিরল ৷ আসুন তাঁর জন্মদিনে ফিরে দেখা সেই হরভজনকে যিনি কখনও 'দিলদার' কখনও আবার একটু 'রগচটা' ৷ কিন্তু সব মিলিয়ে 'সিং ইজ কিং' ৷
প্রথমবার, ভারতীয় দলে তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন 1998 সালে ৷ আর কেরিয়ারের শুরুর দিকে জড়িয়েছিলেন বিতর্কেও ৷ উল্টোদিকে রিকি পন্টিং ৷ অজি ব্যাটসম্যানকে আউট করার পর তাঁকে ইঙ্গিতে মাঠের বাইরে চলে যেতে বলেন 17 বছর বয়সি এই তরুণ ৷ শুধু তাই নয়, রাগের মাথায় কিছু অভব্য কথাও বলেন ৷ পরে নিজেই ইন্টারভিউতে সেকথা স্বীকার করেছিলেন তিনি ৷ ফলে জরিমানার মুখে পড়তে হয় তাঁকে ৷ ব্যানও করা হয় এই তরুণ অফস্পিনারকে ৷
দু'বছর যেতে না যেতেই এনসিএ থেকেও বের করে দেওয়া হয় তাঁকে ৷ তখন বর্ষীয়াণ কোচ এরাপল্লি প্রসন্নের কাছে কোচিং নিচ্ছিলেন হরভজন ৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি নাকি নিয়ম মানেন না, ওয়ার্ক আউটও ঠিক মতো করতে চান না আর শৃঙ্খলারও অভাব রয়েছে তাঁর মধ্যে ৷ দলে হয়তো হরভজনের আর ফেরা হতো না যদি না থাকতেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ হরভজন নিজেই জানিয়েছিলেন, সৌরভই তাঁকে দলে আসার জন্য আলাদা করে কথা বলেন ৷ 2001 সালে সেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই রাজার মতো ফিরলেন হরভজন ৷ শুধু কলকাতার হ্যাটট্রিক নয়, তিন টেস্টে নিলেন 32টি উইকেট ৷ যা আজও এক অনবদ্য রেকর্ড ৷