আমেদাবাদ, 9 এপ্রিল: এ যেন ব্রাত্যজনের রুদ্ধ সঙ্গীত । ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ইমপ্যাক্ট ইনিংস যখন ম্যাচ প্রায় নাইটদের পকেটে নিয়ে এসেছিল তখনই গুজরাত টাইটান্স অধিনায়ক রশিদ খানের প্রত্যাঘাত । আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, শার্দূল ঠাকুরকে তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিক । বল হাতে 'ক্যাপ্টেনস নক' । মনে হচ্ছিল সবরমতীর তীরে ইতিহাস লিখলেন আফগান লেগ স্পিনার ।
হার্দিক পাণ্ডিয়ার অনুপস্থিতিতে জয় চ্যাম্পিয়নদের প্রায় হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছিলেন রশিদ । কিন্তু কলকাতা নাইটরাইডার্স শাহরুখ খানের মন্ত্রে দীক্ষিত । 'হার কর জিতনেওয়ালে কো বাজিগর ক্যাহতে হ্যায়' । এই মন্ত্রের বাস্তব প্রয়োগ করে দেখালেন রিঙ্কু সিং । আইপিএল নিলামে আনক্যাপড ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে তৈরি করেছেন । ইডেনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে নাইটদের জয়েও রিঙ্কু ছিলেন সহ-নায়ক । এদিন অন্যের ছায়ায় থাকা নয়, কঠিন সময়ে নিজেকে 200 শতাংশ নিংড়ে দিয়ে ম্যাচের 'বাজিগর' উত্তরপ্রদেশের এই তরুণ।
শেষ ওভারে নাইটদের দরকার ছিল 29 রান । হাতে তখন পুঁজি মাত্র 5টি বল । অনূর্ধ্ব-19 বিশ্বকাপ জয়ী দলের পেসার যশ ধুলকে পরপর ছক্কা হাঁকিয়ে রিঙ্কু দেখালেন 'ক্রিকেট আভি বাকি হ্যায় দোস্ত' । 5 নম্বর বল ওভারবাউন্ডারি মেরে রিঙ্কু রানের জন্য দৌড়ননি । দৌড়েছিলেন ডাগ-আউটে অপেক্ষায় থাকা সতীর্থদের দিকে । কতটা আত্মবিশ্বাস থাকলে এটা সম্ভব । 21 বলে 48 রান টি-20-এর প্রেক্ষাপটের বিচারে ডাবল সেঞ্চুরির সমান । তাই কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের আবেগে তাড়িত হয়ে পড়া, অধিনায়ক নীতিশ রানা ও আন্দ্রে রাসেলের আলিঙ্গন কিছু বলতে চাওয়ার কোলাজ ছবিতে সাফল্য প্রায়শ্চিত্তের মিশেল ।