আমেদাবাদ, 28 মে : রবিবার আইপিএল ফাইনাল দেখতে মোতেরা স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi will Go to Ahmedabad to Watch IPL Final) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ যে ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে গুজরাত টাইটন্স এবং রাজস্থান রয়্যালস ৷ আর দেশের অন্যতম দুই ভিভিআইপি’র উপস্থিতিতে আইপিএল ফাইনাল আয়োজনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা একটা বড় বিষয় ৷ আর তাই প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সুরক্ষায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে ৷
আমেদাবাদ পুলিশের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা দর্শকদের গাড়ি রাখার জন্য 31টি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ যেখানে 8টি পার্কিং কেবল বাইক ও স্কুটারের জন্য ৷ আর 23টি পার্কিং এরিয়া চার চাকা গাড়ির জন্য রাখা হয়েছে ৷ নির্ধারিত পার্কিং এরিয়ায় মোট 12 হাজার বাইক এবং 15 হাজার চারচাকা গাড়ি রাখা যাবে ৷ আর এই পার্কিং এরিয়ায় গাড়ি রাখতে হলে, দর্শকদের আগাম পার্কিং ভাড়া করতে হবে ৷ তার জন্য গুজরাতের ‘শো মাই পার্ক অ্যাপ’ ব্যবহার করে অগ্রিম গাড়ির পার্কিং বুক করতে হবে দর্শকদের ৷
রবিবারের ম্যাচের জন্য নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম সংলগ্ন রাস্তায় যান চলাচল ব্যবস্থাকে সামান্য বদল করা হয়েছে ৷ সংশ্লীষ্ট রাস্তাগুলির অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের দিন থেকে এই নিয়ম লাগু হয়েছে ৷ পরিবর্তীত কোন পথে গাড়ি চলাচল করছে, তার একটি রূপরেখা প্রকাশ করেছে আমেদাবাদ পুলিশ কমিশনারেটের তরফে ৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে মোতেরা স্টেডিয়াম সংলগ্ন জনপথ চায় রোড এবং স্টেডিয়াম সংলগ্ন কৃপা রেসিডেন্সি চায় রোড থেকে মোতেরা চায় রোড দুপুর 2টোর পর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হবে ৷
আরও পড়ুন :Buttler recalls Warne : 'ফাইনালে ওয়ার্নিকে মিস করব', স্পিনের জাদুকরের স্মৃতিচারণ বাটলারের
ম্যাচের দিন প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতির জেরে আমেদাবাদে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে ৷ আর এই ম্যাচের নিরাপত্তায় প্রায় 6 হাজার পুলিশ কর্মীকে স্টেডিয়ামের ভিতরে ও বাইঅরে মোতায়েন করা হয়েছে ৷ এছাড়াও স্টেট রিজার্ভ পুলিশ, ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এবং অন্যান্য এজেন্সিকে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে একাধিক পুলিশের গাড়ি আমেদাবাদের সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে টহল দেবে ওইদিন ৷ গুজরাত শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘গুজরাত টাইটন্স’ তাদের আইপিএল অভিষেকেই ফাইনাল খেলছে ৷ আর ফাইনালও গুজরাতে ৷ ফলে সেখানকার নাগরিকদের মধ্যে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা একটু বেশি থাকবে তা স্বাভাবিক ৷ এর জেরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তা সুনিশ্চিত করাই গুজরাত প্রশাসনের মূল লক্ষ্য ৷ বিশেষ করে এই মেগা ইভেন্টে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন ৷