কলকাতা, 13 মে: চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে খেলতে শুক্রবার রওনা দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সঙ্গে যশস্বী জয়সওয়ালের বিধ্বংসী ইনিংসের আতঙ্ক। বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে 9 উইকেটে হেরেছেন নীতীশ রানারা। সেই হার এবারের আইপিএল থেকে বিদায়ের ঘণ্টা কার্যত বাজিয়ে দিয়েছে কেকেআরের। পরপর দু'ম্যাচে জেতা কেকেআর মুখ থুবড়ে পড়েছে। ভরসার স্পিনাররা ব্যর্থ। বরং প্রতিপক্ষকে 'স্পিন পিচ' বানিয়ে বেকায়দাতে ফেলার ছক বুমেরাং হয়ে দাঁড়াল কেকেআরের সামনে।
বরুণ চক্রবর্তী, সুয়াস শর্মা, সুনীল নারিনদের ছাপিয়ে নায়ক যুজবেন্দ্র চাহাল। তাঁর চার উইকেট দেড়শোর মধ্যে আটকে যেতে বাধ্য করে নাইটদের। 41 বল বাকি থাকতে জয়ের রান তুলে ফেলে রাজস্থান। এই হারের ফলে লিগ তালিকায় কেকেআরের অবস্থান এখন সাতে। বাকি দুটো ম্যাচ। ওই দু'টো ম্যাচ জিতলেও যে প্লে-অফের দরজা খুলবে, সেটা হলফ করে বলা যাচ্ছে না। অনেক পারমুটেশন কম্বিনেশন রয়েছে। তবে রাজস্থান ম্যাচের ধাক্কা সরিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চায় কেকেআর।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচে আত্মসমর্পণের মিছিলে একমাত্র ভালো পারফরম্যান্স ভেঙ্কটেশ আইয়ারের। তাঁর 42 বলে 57 রানের ইনিংস, ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় দলের জন্য। যদিও বাকি ব্যাটসম্যানরা সেইভাবে রান পাননি। সতীর্থদের ব্যর্থতাকে আড়াল করেছেন ভেঙ্কটেশ। তিনি বলেছেন, এই হারের দায় আমারও। কারণ, প্রচুর ডট বল খেলেছি। স্ট্রাইক রোটেট করে আরও বেশি খেলা উচিত ছিল। রাজস্থান সেইসময় অনেক চাপ দিতে শুরু করে। ম্যাচের শেষদিকে আমরা লড়াইতে ফিরতে পেরেছিলাম। কিন্তু এখন এইসব কথার কোনও মানে নেই।
আরও পড়ুন:নন্দনকাননে 'যশস্বী' জয়সওয়াল, গো-হারা হেরে আঁধারে নাইটরা
একইসঙ্গে যোগ করেছেন, রাজস্থান যেভাবে ফিল্ডিং করল, তাতে ওরা 20 রান বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে। একটি টি-20 ম্যাচে যা নিঃসন্দেহে অবিশ্বাস্য ঘটনা। শুরুতেই দু'টি উইকেট হারানোর পর ক্রিজে নতুন দু'জন ব্যাটসম্যান আসে আমাদের। সেইসঙ্গে, ব্যাট করার জন্য পিচ মোটেই সহজ ছিল না। ফলে, রানের গতি অনেকটাই কমে যায়। নিজের দলের বোলারদের ব্যর্থতাকেও আড়াল করতে চেয়েছেন ভেঙ্কটেশ। বলেছেন, উইকেটও মন্থর হয়ে গিয়েছিল। নতুন বলে, আমরা স্পিন ব্যবহার করে সুবিধা নিতে চেয়েছিলাম। বল যদি প্ৰথম থেকেই ঠিকঠাকভাবে ঘুরত, তাহলে ওদের ব্যাটসম্যানরা সমস্যায় পড়ত। এই রান ওদের পক্ষে সহজে তাড়া করা মুশকিল হত। এই বিষয়ে আমাদের ম্যাচের পর অনেক কথা হয়েছে। কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা সঠিকভাবে কাজ করেনি। হারের পর বেশ চাপেই রয়েছে নাইট শিবির। তবে সামনের দু'টো ম্যাচে যেকোনও মূল্যে জয় ছিনিয়ে নিতে চাইছে নাইটরা। কারণ প্লে-অফের ক্ষীণ আশা যাতে নষ্ট না-হয়ে যায়।