কলকাতা, 8 মে: শিখর ধাওয়ানের অধিনায়কোচিত অর্ধশতরানে ইডেনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যমাত্রা নাইটদের সামনে ৷ টস জিতে এদিন ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পঞ্জাব অধিনায়ক শিখর ধওয়ান। নাইটদের সামনে বড় ইনিংসের লক্ষ্য চাপিয়ে রাশ তুলে নেওয়াই ছিল লক্ষ্য। কিন্তু প্লে-অফের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে মরিয়া কেকেআর ৷ প্রথম থেকেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করে গেল। চলতি মরশুমে প্রথম ছয় ওভারে নাইট বোলাররা প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ ৷ তবে এই অপবাদ সোমবারের ম্যাচে ফিরিয়ে দিলেন নাইট পেসাররা।
বৈভব অরোরা এবং হর্ষিত রানা চলতি আইপিএলে অংশ নেওয়া দলগুলোর বোলিং আক্রমণে সবচেয়ে অনভিজ্ঞ পেসার জুটি। অথচ ইডেনে বাইশ গজের বাউন্সকে কাজে লাগিয়ে দু'জনেই পঞ্জাবকে ব্যাকফুটে ঠেলার কাজটি করলেন। বৈভব অরোরা তাঁর প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে শুরুটা আঁটোসাঁটো করলেও দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে চাপ বজায় রাখতে ব্যর্থ। একইভাবে হর্ষিত রানা দু'টো উইকেট নিলেও দ্বিতীয় স্পেলে খরচ করলেন দেদার রান। তবে ভরসা দিলেন বরুণ চক্রবর্তী, সুয়াস শর্মা, সুনীল নারিনের স্পিন ত্রয়ী ৷
হর্ষিত রানা এদিন প্রভসিমরন সিং(12) এবং রাজাপক্ষের (3) উইকেট তুলে নেন। বরুণ চক্রবর্তীর স্পিনের ফাঁদে আউট লিভিংস্টোন (15) ফিরে যান। হায়দরাবাদ ম্যাচের শেষ ওভারের পর থেকে বরুণ আরও আত্মবিশ্বাসী। চার ওভারে 26 রান দিয়ে তিন শিকার তাঁর আত্মবিশ্বাসী বোলিংয়ের অভিযান। পাওয়ার-প্লে'তে তিন উইকেট হারিয়েও পঞ্জাব 7 উইকেট হারিয়ে 179। কারণ অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানের 47 বলে 57 রানের ইনিংস। দলের ব্যাটিংয়ের ভাঙনেও শিখর নাইট বোলারদের সামলালেন অভিজ্ঞতা এবং ব্যাটিং টেকনিককে পুঁজি করে।
আরও পড়ুন:কলকাতার রসগোল্লায় মজেছেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ
জিতেশ শর্মার সঙ্গে জুটি বেঁধে 53 রানের পার্টনারশিপ পঞ্জাবের রানের গতি স্লথ হতে দেয়নি। তবুও একটা সময় মনে হয়েছিল পঞ্জাবের ইনিংস 160 পেরোবে না। কিন্তু শাহরুখ খানের আট বলের 21 রানের ক্যামিও ইনিংস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। বরুণ চক্রবর্তী এবং হর্ষিত রানার ভালো বোলিংয়ের পাশে যোগ্যসঙ্গত সুনীল নারিন, সুহাস শর্মার মিতব্যয়ী পারফরম্যান্স। 120 বলে 180 রান চাই নাইটদের জয়ের জন্য। লক্ষ্য কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। কারণ, পঞ্জাবের শঙ্গে 31 বার সাক্ষাতে 20 বার জিতে অ্যাডভান্টেজ শাহরুখ খানের দল। তবু প্রতিপক্ষ যখন রিলের 'বীর-জারা'। লড়াইটা তাই উপভোগ্য এবং অস্তিত্ব রক্ষার হবে; সেটা ধরে নেওয়া যায়।