চেন্নাই, 15 মে: জিতলে যাও বা ক্ষীণ আশা বেঁচে থাকত, হারলে আজই সরকারিভাবে বিদায় নিশ্চিত ছিল ৷ এমতাবস্থায় সামনে ছিল চারবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস । কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাজটা যে আরও কঠিন ছিল, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না ৷ সেই কঠিন কাজটাই এদিন সহজে করে ফেললেন নীতীশ রানা, রিঙ্কু সিংয়েরা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে 144 রানে থেমেছিল চেন্নাই। আপাত নিরীহ রান তাড়া করতে নেমে শুরতেই তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল কেকেআর । অনেকেই ভেবেছিলেন লজ্জার হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেবে দু'বারের চ্যাম্পিয়নরা। যদিও হল তার ঠিক উলটো। সৌজন্যে, নীতীশ রানা এবং রিঙ্কু সিং। অধিনায়কোচিত ইনিংসে প্রতিপক্ষের ডেরায় ঢুকে জয় ছিনিয়ে আনলেন তিনি। অন্যদিকে, নাইটদের আস্থার মাপকাঠি এখন রিঙ্কু সিং। দল বিপদে পড়লেই মধুসূদন দাদার মতো অবতীর্ণ হচ্ছেন তিনি। শেষ ওভারের পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা কিংবা শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার কাজটা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় করে চলেছেন রিঙ্কু।
রবিবারের চিপকও দেখল একই ছবি। এই ম্যাচে হার মানেই চলতি আইপিএল থেকে ছিটকে যাওয়া। সেই ম্যাচেই দুরন্ত হয়ে উঠলেন রিঙ্কু। ফলে অঙ্কের বিচারে নাইটদের এখনও সুতোর উপর হাঁটার পরিস্থিতি। তৃতীয় উইকেটে 99 রানের পার্টনারশিপ গড়লেন দুই ব্যাটার। নীতীশের অবদান 44 বলে 57। রিঙ্কু করলেন 43 বলে 54। মইন আলির দুরন্ত থ্রোয়ে যখন ডাগ-আউটে ফিরলেন তখন ম্যাচ পকেটে পুরতে দলের দরকার মাত্র 13 রান । বাকি কাজটা সারলেন নাইটদের অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত 6 উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল কলকাতা। প্লে-অফে যাওয়ার আশা একেবারে ক্ষীণ হলেও অঙ্কের বিচারে এখনও টিকে রইল বেগুনি ব্রিগেড।
আরও পড়ুন:ঘরের মাঠে 'সৌরভ' ছড়াতে ব্যর্থ দিল্লি, লজ্জার হারে আইপিএল থেকে বিদায় ক্যাপিটালসের
ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারানো কঠিন ছিল। সেই কাজটা হয়েছে। এবার কলকাতার লক্ষ্য নিজেদের ঘরের মাঠে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে পরাজিত করা। সেটাই দুটি দলের শেষ ম্যাচ। লখনউ তার আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে খেলবে। কেকেআর মনেপ্রাণে চাইবে লখনউয়ের হার। কারণ রোহিতদের বিরুদ্ধে ক্রুণালরা জয় তুলে নিলেই তাঁদের পয়েন্ট বেড়ে হবে 15। তাতে কেকেআরের পক্ষে আর শেষ চারে যাওয়া সম্ভব হবে না। তাই কলকাতার সমর্থকদের কাছে প্রথম আশা মঙ্গলবার হেরে যাক লখনউ।