আমেদাবাদ, 7 মে: আইপিএল-এর সুপার সানডে-তে আজ দুই ভাইয়ের দ্বৈরথ ৷ একদিকে হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাত টাইটান্স এবং অন্যদিকে ক্রুণাল পান্ডিয়ার লখনউ সুপার জায়ান্টস ৷ আর দুই ভাইয়ের লড়াইয়ে মঞ্চ মাতালেন শুভমন গিল (94 রানে অপরাজিত) এবং ঋদ্ধিমান সাহা (81 রান) ৷ দুই ব্যাটারের ব্যাটিং দাপটে মাত্র 2 উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে 227 রান তুলল গুজরাত টাইটান্স ৷ রবিবার টস জিতে ভাই হার্দিকের গুজরাত টাইটান্সকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান দাদা ক্রুণাল ৷ প্রথম ওভার থেকেই এলএসজি-র বোলারদের রিমান্ডে নেন ঋদ্ধি ৷
চোট সারিয়ে এই মরশুমের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন বাঁ-হাতি পেসার মহসিন খান ৷ ম্যাচ প্র্যাকটিস ছাড়া মাঠে নামলে কী হতে পারে, তা বুঝিয়ে দিলেন ঋদ্ধি ৷ শুরু থেকেই মহসিনকে আক্রমণ করেন তিনি ৷ পাওয়ার প্লে-তে 78 রান তোলেন ঋদ্ধি এবং শুভমন ৷ ঋদ্ধিই মূলত পাওয়ার প্লে-তে অধিকাংশ রান করেন ৷ মাত্র 20 বলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছন বঙ্গ ক্রিকেটার ৷ এমনকি ওপেনিংয়ে এই মরশুমের প্রথম সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ ছিল গুজরাতের ৷ ঋদ্ধিমান সাহা 43 বলে 81 রান করেন ৷
ঋদ্ধি যখন আউট হন, তখন টাইটান্সের স্কোর 142 রান ৷ সেখান থেকে শুভমন এবং হার্দিক ম্যাচ টানেন ৷ হার্দিক 15 বলে 25 রান করেন ৷ শেষে ডেভিড মিলার এবং শুভমন মিলে গুজরাত টাইটান্সকে 227 রানে পৌঁছে দেন ৷ শুভমন গিল 51 বলে 94 রানে অপরাজিত থাকেন ৷ তবে, কেএল রাহুল বিহীন লখনউ সুপার জায়ান্টসকে এ দিন ছন্নছাড়া দেখিয়েছে ৷ প্রতিপক্ষের আক্রমণের জবাবে অধিনায়ক হিসেবে কোনও দ্বিতীয় পরিকল্পনা ছিল না ক্রুণালের কাছে ৷ তিনি নিজেও বল হাতে আজ সফল নন তিনি ৷ 4 ওভারে 38 রান দিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন:প্রথম চারে প্রবেশের সুযোগ হাতছাড়া কোহলিদের, বড় জয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল দিল্লি
বাকি বোলারদের প্রায় সকলেই প্রতি ওভারে 9 বা 10-এর উপরে রান দিয়েছেন ৷ লখনউয়ের হয়ে 1 টি করে উইকেট নিয়েছেন আবেশ খান এবং মহসিন খান ৷ মোটের উপর দুই ভাইয়ের লড়াইয়ে ম্যাচের প্রথম ভাগে হার্দিক পান্ডিয়া বাজি মেরেছেন ৷ এবার দ্বিতীয় ইনিংসে লখনউ ব্যাটাররা কী করেন ? সেটাই দেখার ৷ আজ কেএল রাহুলের জায়গায় লখনউয়ের প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছেন কুইন্টন ডি’কক ৷ গত সিজনে লখনউয়ের সবচেয়ে সফল ব্যাটার ছিলেন কুইন্টন ৷