দুবাই, 28 সেপ্টেম্বর : টি-20 ম্যাচ মানে পরতে পরতে উত্তেজনা ৷ ম্যাচ কখনও এই পক্ষের তো কখনও ওই পক্ষের ৷ মাঠে চার ছক্কার বন্যা ৷ আর 13 তম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ একেবারে এর পরিপূরক ৷ প্রতি ম্যাচেই কিছু না কিছু ঘটছেই ৷ কোটিপতি লিগ আরব আমিরশাহিতে যেন নতুন করে নিজেকে চেনাচ্ছে ৷ এখনও পর্যন্ত মাত্র 10টি ম্যাচ হয়েছে ৷ কিন্তু এরই মধ্যে একাধিক রেকর্ড গড়তে, ভাঙতে দেখেছে মরুদেশ ৷ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে সুপার ওভার হয়েছে ৷ দশম ম্যাচেও দেখা গেল একই ছবি ৷ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের 201 রানের জবাবে মুম্বইও থামল 201 রানে ৷ টাই ম্যাচের নিষ্পত্তি হল সুপার ওভারে ৷ আর সেখানেই প্রয়োজনীয় 8 রান তুলে ম্যাচ ঘরে তুলল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ৷
‘‘ভিনি ভিডি ভিসি’’ অর্থাৎ এলাম, দেখলাম জয় করলাম ৷ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ঈশান কিষাণের জন্য শুধু এবং শুধু মাত্র এই কথাটাই প্রযোজ্য ৷ কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবেই সুযোগ পেয়েছিলেন প্রথম একাদশে ৷ আর সেই সুযোগেই বাজি মাত করলেন ঝাড়খণ্ডের এই তরুণ ক্রিকেটার ৷ আগের দিনে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছিলেন রাহুল তেওয়াটিয়া ৷ এক ওভারেই পঞ্জাবের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি ৷ আজ সেই কাজটাই করলেন ঈশান ৷ তবে থাকলেন ট্র্যাজিক নায়ক হিসেবেই ৷ মাত্র 1 রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করলেন ৷ ক্রিজে থাকলে হয়ত ম্যাচটা ঘরে তুলতে পারতেন ৷ কিন্তু কাপ আর ঠোঁটের মধ্য ফারাক থাকার মতো ম্যাচ জয় করা হল না ঈশানের ৷ অথচ আগের দুটি ম্যাচে দলে জায়গা হয়নি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের ৷ কিন্তু সৌরভ তিওয়ারির চোট সুযোগ করে দেয় ৷ আর সেই সুযোগ হাতছাড়া করলেন না ঈশান ৷ চার নম্বরে যখন ব্য়াটিং করতে নামলেন তখন মাত্র 16 রানে দুই উইকেট হারিয়েছে মুম্বই ৷ সেখান থেকে প্রথমে হার্দিক পাণ্ডিয়া ও পরে কায়রন পোলার্ডকে সঙ্গী করে ম্যাচ জয়ের আঙিনায় দলকে পৌঁছে দিয়েছিলেন ৷ তবে ম্যাচ জিততে না পারলেও তাঁর 58 বলে 99 রানের ইনিংসটার পর তাঁকে বাইরে রেখে দল সাজানোর সাহস হয়ত আর পাবেন না মাহেলা জয়বর্ধনে, রোহিত শর্মারা ৷