মুম্বই, 16 নভেম্বর: বিশ্বকাপের মাঝেই আইসিসি-র ক্রমতালিকায় এক নম্বর ব্যাটার হয়েছেন শুভমন গিল ৷ এর আগে ভালো শুরু করেও সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছেন মাঝপথে আউট হওয়ার জন্য ৷ কিন্তু বুধবার পায়ের পেশিতে টান তাঁকে সেঞ্চুরির লক্ষ্যে পৌঁছাতে দেয়নি ৷ 80 রানেই নট আউট থাকতে হয়েছে তাঁকে ৷ যদিও তার জন্য বিন্দুমাত্র আফশোস নেই ভারতীয় ক্রিকেটের এই তরুণ তুর্কির ৷ বরং দল ফাইনালে পৌঁছানোই তিনি খুশি ৷
সোমবার ওয়াংখেড়েতে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন এই ভারতীয় ওপেনার ৷ সেখানে তিনি বলেন, "আমার যদি ক্র্যাম্প না হত, তাহলে হয়তো আমি 100 স্কোর করতে পারতাম । কিন্তু আমি 100 স্কোর করি বা না করি, আমরা যে স্কোরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলাম, আমরা সেখানে পৌঁছেছি এবং 400 রান করার আশা ছিল । আমরা তা করেছি । তাই আমি সেঞ্চুরি করি বা না করি তাতে কিছু যায় আসে না ।’’
অন্যদিকে ইনিংসের মাঝে নিজের অসুস্থতা নিয়ে তিনি বলেন, “সত্যি বলতে আমি আমার ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে সত্যিই কিছু পরিবর্তন করিনি ৷ কিন্তু ডেঙ্গির কারণে আমার পেশি দুর্বল হয়ে পড়েছে ৷ সাধারণত, আমি এত তাড়াতাড়ি ক্র্যাম্প হয় না । আমার জন্য এটি দীর্ঘ সময়ের পরে হয়, এত তাড়াতাড়ি হয় না ।’’
রোহিতের সঙ্গে ওপেনিং পার্টনারশিপ: প্রতিম্যাচে মারকুটে ব্যাটিং দিয়ে শুরু করছেন রোহিত শর্মা ৷ সেই সময় উলটোদিকে একেবারে ধীর-স্থির ইনিংস খেলছেন শুভমন ৷ সাংবাদিক বৈঠকে সেই প্রসঙ্গও ওঠে ৷ এই নিয়ে শুভমন বলেন, “ওঁর (রোহিত) সম্পর্কে সবকিছুই আমাকে মুগ্ধ করে । আমি পাওয়ারপ্লে-তে একজন ছাত্র হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকি । তিনি 10 ওভার খেলেন । আমি 15-20 বল খেলি । আমি বিশ্রাম করি এবং রোহিত এসে তাঁর কাজ করেন । তিনি চার, ছয় মারেন এবং আমি শুধু দেখি ।’’
শুভমনের হাতেও বড় শট রয়েছে ৷ ফলে রোহিতকে ওইভাবে মারমুখী ব্যাটিং করতে দেখে তাঁরও কি একই ধরনের শট খেলতে ইচ্ছে করে না ? গিলের উত্তর, “সত্যি বলতে, তিনি যখন থাকেন, আমি খেলার জন্য এত বল পাই না । আমার ভূমিকা শুধুমাত্র পাওয়ারপ্লে-তে নিজের খেলাটা খেলা ৷ বাউন্ডারির জন্য ভালো শটের অপেক্ষা করা ৷ পাওয়ারপ্লে শেষ হয়ে গেলে, আমি স্ট্রাইক রোটেট (একরান-দুইরান নেওয়া) করতে পারি ৷ তার পর স্পিনারদের খেলা শুরু করি ৷ এর পর আপনি কীভাবে খেলবেন, কোন বোলারকে কীভাবে খেলবেন, সেটা আপনার ব্যাপার ৷’’