হায়দরাবাদ, 13 অক্টোবর:পরিসংখ্যান বলছে, একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে এখনও পর্যন্ত 134 বার মুখোমুখি হয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ৷ পাকিস্তান জিতেছে 73 বার, ভারত পাক ‘বধ’ করেছে 56 বার ৷ যদিও বিশ্বকাপের মঞ্চে এখনও পর্যন্ত অপারজেয় ‘মেন ইন ব্লু’ ৷ ক্রিকেটের সবচেয়ে কুলীন টুর্নামেন্টে 7 বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান ৷ ফলে শনিবাসরীয় লড়াই কার্যত যুদ্ধক্ষেত্র ৷
ভারত বা পাকিস্তান, দু’দেশই ক্রিকেটকে ধর্মের আসনে বসিয়েছে ৷ ফলে পাকিস্তানের লক্ষ্য বিশ্বকাপে প্রথমবার জয় ছিনিয়ে নিয়ে পরিসংখ্যানে উন্নতি ঘটানো ৷ অন্যদিকে ভারতের লক্ষ্য, ফের পাক ‘বধ’ করে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটানো ৷ যদিও বিশ্বকাপে ম্যাচের ফলাফল একপেশে হলেও তাতে ঘটনার ঘনঘটার অভাব ছিল না ৷
- মিঁয়াদাদ-মোরে ক্ল্যাশ:
ফিরে যেতে হবে 29 বছর আগে, 1992 বিশ্বকাপে ৷ দু’দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্কের উত্তাপ সবুজ গালিচায় নামিয়ে এনেছিলেন দু’দলের দুই ব্যাটার ৷ জাভেদ মিঁয়াদাদ ও কিরণ মোরে ৷ দু’জনের অন-গ্রাউন্ড প্রতিদ্বন্দ্বীতা এই ম্যাচকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছিল ৷ ক্রমশ সেই উত্তাপ পৌঁছে গিয়েছে গ্যালারিতে ৷ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ওই ম্যাচে ভারত শেষ পর্যন্ত 43 রানে জিতেছিল ।
- প্রসাদ বনাম সোহেল:
চার বছর পর ফের মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশ । বেঙ্গালুরুর ওই ম্যাচে হেডলাইন লেখার কাজটা করেছিলেন ভারতের ভেঙ্কটেশ প্রসাদ ও পাকিস্তানের ওপেনার আমির সোহেল ৷ ভেঙ্কটেশ প্রসাদকে বাউন্ডারি লাইনের কোথা দিয়ে চার মারবেন দেখানো থেকে শুরু করে পরের ডেলিভারিটাই সোহেলের উইকেটে ফেলা, ম্যাচের উত্তাপ শুরু থেকেই বেড়েছে । সোহেলকে আউট করে প্রসাদের প্যাভিলিয়ন দেখানোর ছবি ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে বহুদিন থেকে যাবে ৷ এম চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে 39 রানে হারিয়েছিল ভারত ।
- কার্গিলের আবহে বিশ্বকাপ:
ইংল্যান্ডে 1999 সালের বিশ্বকাপ হয়েছিল কার্গিল যুদ্ধের আবহে ৷ ম্যানচেস্টারে ভারত প্রথমে ব্যাট করে তোলে 227 রান ৷ 180 রানে অল-আউট হয়ে যায় পাকিস্তান ৷ মহম্মদ আজহারউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ভারত 47 রানে ম্যাচ পকেটে পোরে ।