অমরোহা (উত্তরপ্রদেশ), 4 নভেম্বর:মহম্মদ শামি ৷ নামটায় আজ আর কোনও পরিচয়ের প্রয়োজন নেই। শিশু থেকে বুড়ো, ক্রীড়াপ্রেমীদের মুখে মুখে তাঁর নাম। তবে শামির সাফল্যের পিছনের গল্প খুব কম মানুষই জানেন। খুব কম লোকই জানেন যে শামির বাবা তৌফিক আহমেদ আলিও ছিলেন একজন ক্রিকেটের অনুরাগী এবং তিনিও দ্রুতগতির বোলার ছিলেন। কিন্তু নানা কারণে তৌফিক আহমেদ আলি ক্রিকেট জগতে প্রবেশ করতে পারেননি এবং পরিবারের পাশে দাঁড়াতে কৃষিকাজকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন ৷ ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে বিশ্বকাপের প্রথম চার ম্যাচে খেলতে দেখা যায়নি শামিকে। তবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেই পাঁচ উইকেট নিয়ে জাত চেনান তিনি। পরের ম্যাচে 4 ও বৃহস্পতিবার ওয়াংখেড়েতে 5টি উইকেট নিয়ে একাধিক রেকর্ড গড়েছেন বঙ্গ পেসার ৷ জেনে নিন তাঁর জীবনের অজানা কিছু কথা ৷
উত্তরপ্রদেশের এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করা শামি তৌসিফ আলির চার সন্তানের একজন মহম্মদ শামি। ছোটবেলা থেকেই শামির বল হাতে দক্ষতা নজরকাড়া হলেও তিনি উত্তরপ্রদেশের অনূর্ধ্ব-19 দলে সুযোগই পাননি। এর জন্য তাঁর কোচ বাদরুদ্দিন সিদ্দিকি অবশ্য খেলার মাঠের রাজনীতিকেই দায়ী করেন। তবে অনূর্ধ্ব-19 দলে সুযোগ না-পেয়েও শামি ভেঙে পড়েননি ৷ বরং কোচের পরামর্শে ঘরবাড়ি সবকিছু ছেড়ে দিয়ে তিনি চলে আসেন কলকাতায়। 2005 সালে তিলোত্তমায় পা-রাখার পরেই তাঁর স্বপ্নের উড়ান শুরু হয়। প্রথমে রঞ্জি ও বছর তিনেক পর জাতীয় দলে সুযোগ পান ভারতীয় এই জোরে বোলার ৷
2023 বিশ্বকাপের ম্যাচে শামির পারফরম্যান্সে আনন্দে মেতেছে উত্তরপ্রদেশের অমরোহার শাহসপুর আলিনগর গ্রাম ৷ গ্রামবাসীরা ইটিভি ভারতকে জানান, গ্রামেরই স্টেডিয়ামে খেলতেন শামি। যদিও এই মুহূর্তে এখানে কেউ খেলে না।। শামির জন্য আমরা গর্বিত ৷