আমেদাবাদ, 17 নভেম্বর: তিনি চলতি আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ৷ নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা কোনও দলই শামির আগুনে পেস ও স্যুইংয়ের প্রকোপ থেকে বাঁচতে পারেনি ৷ বিশেষত নিউজিল্যান্ড, লিগ ও সেমিফাইনালে তাদের বিরুদ্ধে মোট 12 উইকেট তুলেছেন শামি ৷ কিন্তু, এই বিধ্বংসী বোলিংয়ের পিছনে কোনও জটিল রহস্য নেই বলে জানান ভারতীয় পেসার ৷ শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে উইকেট লাইনে বল রেখে যান তিনি ৷ আর তাতেই সাফল্য আসে ৷
বিশ্বকাপ সম্প্রচারকারী চ্যানেলে একটি সাক্ষাৎকারে, এতটাই সহজে নিজের বোলিং বিশ্লেষণ করে দিলেন মহম্মদ শামি ৷ মোট 6 ম্যাচ খেলে 5.01 ইকনমি ও 9.13 গড়ে 23 উইকেট নিয়েছেন লালা ৷ যেখানে একটি ম্যাচে 4 ও তিনটি ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি ৷ শামি বলেন, ‘‘আমি সবসময় দেখি পরিস্থিত কেমন ? পিচ ও বল কেমন আচরণ করছে ? আর বল স্যুইং করছে, কি করছে না ? আর বল স্যুইং না করলে, চেষ্টা করি স্টাম্প-টু-স্টাম্প বল করতে ৷ আর এমন একটা জায়গা বেছে নিই বল ফেলার জন্য যেখান থেকে ব্যাটের আউট-সাইড এজ এবং লেগ বিফর দুই করানো যাবে ৷’’
তবে, টু্র্নামেন্টের শুরুর চারটি ম্যাচে খেলেননি মহম্মদ শামি ৷ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হার্দিক পান্ডিয়া চোট পাওয়ায়, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচেই প্রথম একাদশে সুযোগ পান ৷ আর প্রথম ম্যাচেই নিজের নামে পাকাপাকি খুঁটি পুঁতে দেন প্রথম একাদশের তালিকায় ৷ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে 5 উইকেটে নেন শামি ৷ এর পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অল্প রান ডিফেন্ড করতে নেমে 4 উইকেট তোলেন ভারতীয় পেসার ৷ পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ফের 5 উইকেট ৷ আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইডেনে 2টি উইকেট নেন শামি ৷
নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে উইকেট পাননি ৷ কিন্তু, তাঁর এখনও পর্যন্ত সেরাটা তোলা ছিল সেমিফাইানালে কিউয়িদের বিরুদ্ধে ৷ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কঠিন পরিবেশে 7 উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন তিনি ৷ প্রাক্তন ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রী মনে করেন, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন শামি ৷ আর শামির প্রথম বল যে ব্যাটারই খেলুক না কেন, তাঁকে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শাস্ত্রী ৷