পুনে, 20 অক্টোবর: 38.3 থেকে 41.3 ওভার ৷ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই 19 বলে ভারতের শেষ 26 রান এসেছে ৷ আর এই সবক’টি বল খেলেছেন বিরাট কোহলি ৷ হ্যাঁ, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের যখন 26 রান দরকার ছিল জয়ের জন্য, তখন বিরাট কোহলি তাঁর 48তম ওয়ান-ডে সেঞ্চুরি থেকে সমসংখ্যক রান দুরে ছিলেন ৷ সেখান থেকে পরের 19টা বল নন-স্ট্রাইকার এন্ড থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উপভোগ করে গিয়েছেন কেএল রাহুল ৷ কিন্তু, বিরাট নিজে তা চাননি ৷ দলের স্বার্থে নিশ্চিত সিঙ্গল নিতে চেয়েছিলেন তিনি ৷ কিন্তু, উলটোদিকে থাকা ব্যাটিং পার্টনারের অনুরোধেই ব্যক্তিগত মাইলস্টোন ছুঁলেন চেজ-মাস্টার ৷
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের এই জয় নিয়ে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে এদিন সাক্ষাৎকার দেন কেএল রাহুল ৷ ভারতের উইকেট-কিপার ব্যাটার বলেন, ‘‘বিরাট আসলে দ্বিধার মধ্যে ছিল ৷ ও আমাকে বলল, ‘সিঙ্গল না নেওয়াটা আমার মনে হয় না উচিত হবে ৷ যতই হোক এটা একটা বিশ্বকাপ ম্যাচ ৷ এটা বড় মঞ্চ ৷ আমি কখনই চাইব না যে, দেখে মনে হোক আমি নিজের ব্যক্তিগত মাইলস্টোনের জন্য খেলছি ৷’ কিন্তু, আমি ওকে বলি, ‘এটা শুধু ব্যক্তিগত মাইলস্টোনের বিষয় নয় ৷ আমরা এমনিতেও খুব সহজে ম্যাচটা জিতে যাব ৷ তাই তুমি যদি একটা মাইলস্টোন অর্জন করতে পারো, তাহলে কেন করবে না !’ তার পরেই ও শেষ পর্যন্ত খেলে সেঞ্চুরি করে এবং ম্যাচ জেতায় ৷ সেই কারণেই আমি কোনও সিঙ্গল নিইনি ৷’’
তবে, এক্ষেত্রে আম্পায়ার রিচার্ড কেটলবোরার অবদানও রয়েছে ৷ বাংলাদেশের বোলাররাও বিরাটের সেঞ্চুরির আগেই ভারতকে প্রায় জিতিয়ে দিয়েছিলেন ৷ প্রথমে ডান-হাতি মিডিয়াম পেসার হাসান মাহমুদ ৷ এতটাই উঁচু বাউন্সার দেন, যে লেগ আম্পায়ার বাধ্য হন ওয়াইড ডাকতে ৷ এরপর যখন ভারতের 2 রান বাকি 9 ওভারে, তখন প্রথম বলটি লেগ স্টাম্পের অনেকটা বাইরে করেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ৷ বিরাট বলটি ছেড়েও দেন ৷ কিন্তু, আম্পায়ার ওই বলটি বৈধ ঘোষণা করেন ৷ কিন্তু, ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, সেটি দু’শো শতাংশ ওয়াইড ছিল ৷ তবে, বাংলাদেশ বোলারদের অপচেষ্টাকে প্রশ্রয় দেননি ফিল্ড আম্পায়ার ৷