লিডস, 6 জুলাই : আশঙ্কা ছিল তাঁর ফর্ম নিয়ে । যোগ্যতা নিয়ে নয় । আর বিশ্বকাপের শেষ লিগ ম্যাচে সেই লোকেশ রাহুল বুঝিয়ে দিলেন তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া । শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শুধু শতরানই করলেন না, সেমিফাইনালে ওঠা ভারতীয় দলের শেষ চিন্তার ভাঁজটাও মুছে দিলেন তিনি । আর তাঁর পার্টনারের কথা তো বলার দরকারই নেই । রোহিত হিটম্যান শর্মার স্বপ্নের বিশ্বকাপ যেন আরও স্বপ্নময় । শতরান করলেন । সঙ্গাকারার রেকর্ড ভাঙলেন । ঘারে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করলেন সচিন রমেশ তেন্ডুলকরের । লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে সাত উইকেটে হেলায় হারানোই শুধু নয়, লন্ডনের মাঠে নামতে তারা যে প্রস্তুত, তাও স্পষ্ট হয়ে গেল ।
আজ টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা । কিন্তু প্রথম থেকেই দিনটা ছিল টিম ইন্ডিয়ার । বল হাতে দাপট শুরু হল বুমরার । গোটা গ্যালারি তখন বুম বুম ধ্বনিতে ভরে গেছে । শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনারকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠালেন তাই নয়, 10 ওভারে 37 রান দিয়ে 3 উইকেট নিজের খাতায় পুড়লেন । শততম উইকেটটি নিয়ে এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা সিমারটি বুঝিয়ে দিলেন সেমিফাইনালে বিপক্ষের আতঙ্কের কারণ কেন তিনি ।
তবে কিছুটা হলেও আশঙ্কা থেকে গেল ভুবনেশ্বর কুমারের ফর্ম নিয়ে । চোট সারিয়ে ভুবি মাঠে ফিরেছেন ঠিকই, কিন্তু মনে খচখচানিটা থেকেই গেল । শ্রীলঙ্কার মতো কার্যত ক্লাবস্তরের ব্যাটিং অর্ডারের বিরুদ্ধে 10 ওভারে 73 রান দিয়ে কোহলির কপালে ভাঁজটা ফেলেই রাখলেন । আবার অধিনায়কের অতি পছন্দের কুলদীপও কিন্তু বেশ কিছুটা রান খরচ করলেন । সেমিফাইনালের প্রস্তুতি হিসেবেই এই ম্যাচটিকে বেছেছিলেন বিরাট-শাস্ত্রীরা । দু-একটা পরিবর্তন এনেছিলেন । দেখে নিতে চেয়েছিলেন রবীন্দ্র জাডেজাকে । ভারতীয় বোলারদের কথা বলার ফাঁকে বলতেই হবে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ়ের কথা । শতরান করে দলের স্কোরকে ভদ্রতা দিয়েছেন তিনিই ।