মুম্বই, 24 এপ্রিল: 47 -এ পা দিলেন মাস্টার ব্লাস্টার ৷ ভারতরত্ন সচিন তেন্ডুলকরের আজ 47 তম জন্মদিন ৷ তবে হবে না উদযাপন৷ কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনে থেকে যাঁরা লড়ছেন, তাঁদের সম্মান জানাতে জন্মদিন পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি ৷ তবে সকাল থেকেই ভক্ত ও সতীর্থদের শুভেচ্ছায় ভাসতে থাকেন তিনি ৷ 24 বছর ধরে ভারতীয় ক্রিকেট দলের চাপ বহন করেছেন ৷ ফিরে এসেছেন টেনিস এলবোকে হারিয়ে ৷ তাঁর 47 তম জন্মদিনে ফিরে দেখা তাঁর জার্নির ঝলক ৷
1973 সালে 24 এপ্রিল তৎকালীন বোম্বেতে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম সচিন তেন্ডুলকরের ৷ বাড়ির চার সন্তানের মধ্যে সচিন ছিলেন সবথেকে ছোটো ৷ তাঁর বাবা রমেশ তেন্ডুলকর একজন লেখক ও শিক্ষক ছিলেন ৷ তাঁর মা LIC-তে কাজ করতেন ৷
পরিবারের প্রিয় সঙ্গীত পরিচালক এসডি বর্মণের নামানুসারে তাঁর নামকরণ করা হয় ৷ ছাত্র হিসেবে সচিন কখনই মেধাবী ছিলেন না ৷ কিন্তু দুরন্ত অ্যাথলিট ছিলেন ৷ 11 বছর বয়সে ক্রিকেটে হাতেখড়ি ৷ কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর প্রতিভার দ্যুতি ছড়াতে থাকেন ৷ মাত্র 14 বছর বয়সে স্কুল ম্যাচে বিনোদ কাম্বলির সঙ্গে 664 রানের পার্টনারশিপের বিশ্বরেকর্ড গড়েন তিনি ৷ ক্রমশ স্কুল ক্রিকেটে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে ৷
এর কিছুদিন পরই 15 বছরের সচিন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বোম্বের হয়ে তাঁর অভিষেক ম্যাচেই শতরান করেন মাস্টার ব্লাস্টার ৷ এর ঠিক 11 মাসের মধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সচিনের ৷ 1990 সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে প্রথম শতরান করেন তিনি ৷ ক্রিকেটের ইতিহাসে কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে শতরানের নজির গড়েন সচিন ৷ 1992 সালে অস্ট্রেলিয়াতে দুটি শতরান করেন মাস্টার ব্লাস্টার ৷ তার মধ্যে একটি পার্থের বাউন্সি পিচে ৷