দিল্লি, 4 ফেব্রুয়ারি : কোরোনা প্যানডেমিকের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে ভারতে ৷ তবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ৷ চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে 5 ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ় ৷ আর সিরিজ় মাতাতে পারেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ৷
তার মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটার চেতেশ্বর পূজারার কথা বলতেই হবে ৷ ভারতীয় ক্রিকেট দলে রাহুল দ্রাবিড়ের জায়গা নিয়েছেন তিনি ৷ তাঁর ডিফেন্স ভাঙতে বেশ কসরত করতে হয় বিপক্ষের বোলারদের ৷ আর একথা অবলীলায় স্বীকার করেন তাঁরা ৷ ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড বোলারদের আক্রমণ নির্বিষ করতে বিরাট কোহলির অন্যতম ভরসা অবশ্যই চেতেশ্বর পূজারা ৷
সদ্যসমাপ্ত অজ়ি সফরের শেষ টেস্টে তাঁর লড়াকু ইনিংস প্রশংসা কুড়িয়েছে প্রাক্তনদের ৷ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও জস হেজ়েলউডদের একের পর এক দ্রুত গতির বল তাঁর শরীরে আঘাত করেছে ৷ কিন্তু একপ্রান্তে সমস্ত আক্রমণ সহ্য করেছেন তিনি ৷ গাব্বায় ভারতের জয়ের নায়ক ঋষভ পন্থকে ধরা হয় ৷ তবে কৃতজ্ঞতা জানাতেই হয় চেতেশ্বর পূজারার ইনিংসকে ৷
চিন্টু বলেই সতীর্থরা তাঁকে ডাকেন ৷ ক্রিকেট খেলার প্রতি তাঁর আগ্রহ জন্মায় বাবা অরবিন্দ পূজারার থেকে ৷ 1976 থেকে 1980 সৌরাষ্ট্রের হয়ে রণজি ট্রফি খেলেছেন অরবিন্দ ৷ ক্রিকেট পাগল অরবিন্দ চেয়েছিলেন ছোটো থেকেই ক্রিকেট নিয়ে থাকুক তাঁর পুত্র ৷
কোথাই কম্পাউন্ডের পুরানো বাসিন্দাদের চোখে এখনও ভাসে চেতেশ্বরের অনুশীলন ৷ তাঁদের মুখে এখনও শোনা যায়, প্রত্যেক দিন সন্ধ্যায় রেলওয়ে গ্রাউন্ডের ভলিবল কোর্টের পাশে নিম গাছের নিচে পূজারা পিতা-পুত্রের অনুশীলন ৷ বাবা অরবিন্দ ক্রমাগত বোলিং করে যেতেন, আর ক্রিকেটের ব্যাকরণ মেনে খেলে যেতেন চেতেশ্বর পূজারা ৷