মুম্বই, 11 নভেম্বর : প্রায় চার বছর ধরে চলা লোধা কমিটির সুপারিশের বিরুদ্ধে আবার সুপ্রিম কোর্টে যেতে চলেছেন BCCI কর্তারা ৷ বোর্ডের 88 তম বার্ষিক সাধারণ সভা বসতে চলেছে 1 ডিসেম্বর ৷ সেখানেই সংস্থার গঠনতন্ত্রে বড়সড় রদবদল আনার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে ৷ যার মধ্যে সব থেকে বড় আলোচনা হতে চলেছে বোর্ড সভাপতি ও সচিবের মেয়াদ বৃদ্ধি ৷
লোধা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী রাজ্য সংস্থায় বা বোর্ডে যে কোনও জায়গায় একজন প্রশাসক টানা ছয় বছর কাটিয়ে ফেললেই তাঁকে বাধ্যতামূলক ‘কুলিং অফ’ পর্বে যেতে হবে ৷ আর সেই ‘কুলিং অফ’ পর্বের সময়সীমা হবে তিন বছর ৷ এই সময়ে সেই ব্যক্তি রাজ্য বা বোর্ড কোনও সংস্থাতেই কোনও পদে থাকতে পারবে না ৷ আর এই নিয়ম অনুযায়ী, বোর্ড সভাপতি হিসাবে সৌরভের মেয়াদ হবে মাত্র দশ মাসের ৷ কারণ, ইতিমধ্যেই CAB-তে পাঁচ বছরের বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছেন ৷
সৌরভ বোর্ডের মসনদে বসার সময়ই এই নিয়ে আলোচনা হয় বিস্তর ৷ প্রশ্ন ওঠে বোর্ডের কোনও পদে না থেকেও কেন মাত্র দশমাসেই মেয়াদ শেষ হবে সৌরভ গাঙ্গুলির? এই নিয়েই এবার ফের সবর হয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে BCCI, যাতে বোর্ড সভাপতি ও সচিবকে এই হিসাবের বাইরে রাখা যায় ৷ অর্থাৎ সৌরভ বা সচিব জয় শাহ কতদিন রাজ্য সংস্থায় কাটিয়েছেন সেই বিষয়টিকে মান্যতা না দেওয়ার জন্য কোর্টের কাছে আবেদন করতে পারে বোর্ড ৷ নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী বোর্ডের দুই শীর্ষ কর্তা, সভাপতি ও সচিবকে বোর্ডে নিজেদের মেয়াদ ছয় বছর করে কাটানোর পরই ‘কুলিং অফ’ -এ পাঠানো হোক ৷
এদিকে লোধা কমিটির সুপারিশ মেনেই নির্বাচন হয়েছে বোর্ডে ৷ এমন কী বোর্ড নির্বাচনে পদাধিকারী নির্বাচনও হয়েছে এই নিয়ম মেনেই ৷ সুপ্রিম কোর্টে এই গঠনতন্ত্র পাশও করেছে ৷ সব জেনেও ফের নতুন করে আবেদন করতে চলেছেন বোর্ডের শীর্ষ কর্তারা ৷ তাঁদের মতে, এখনকার গঠনতন্ত্র মানতে গেলে বোর্ড পরিচালনায় কোনও অভিজ্ঞ লোকই পাওয়া যাবে না ৷ প্রত্যেক বারই নতুন কাউকে আনতে হবে বোর্ডর গুরুত্বপূর্ণ পদে ৷ তবে সুপ্রিম কোর্ট নিজেদেরই একবার পাশ করা নিয়ম ফের বদলানোর ব্যাপারে মত দেবে কি না, তা যথেষ্ট দ্বন্দ্বের ৷ তবে যদি এই বিষয়ে আর্জি শোনা হয়, তাহলে সৌরভ ও অমিত শাহর পুত্র জয় শাহ- দু’জনেরই অন্তত তিন বছর করে সভাপতি ও সচিব পদে থেকে যাওয়ার সম্ভবনা উজ্জ্বল হবে ৷