কলকাতা, 18 ফেব্রুয়ারি: উত্তাল গঙ্গায় ডিঙি নৌকো চালানোর রোমাঞ্চ উপভোগ করেন অনুষ্টুপ মজুমদার । কিশোর বয়সে বন্ধুদের সঙ্গে মজার ছলেই ঘাটে বাঁধা অন্যের নৌকার কাছি খুলে গঙ্গায় বাইতেন অনুষ্টুপ। ভরা জোয়ারে নৌকো চালানোর অজানা প্যাঁচপয়জার টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই শিখেছিলেন। জীবনের সেই শিক্ষা ক্রিকেটার জীবনেও প্রয়োগ করেন রুকু । চলতি রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার সংকটে তিনি ত্রাতা মধুসূদন (Bengal fight back against Sourashtra)।
ইডেনে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালের প্রথম ইনিংসে আচমকা লাফিয়ে ওঠা বলে আউট হয়েছিলেন । কঠিন পরিস্থিতি সামলাতে না-পারার আক্ষেপ ছিল তাঁর গলায়। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিপক্ষের 230 রানের লক্ষ্মণরেখা টপকে নতুন চ্যালেঞ্জ খাঁড়া করার দায় ছিল । অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিকে সঙ্গে নিয়ে সেটাই করছিলেন অনুষ্টুপ । 101 বলে 8টি বাউন্ডারিতে সাজানো ইনিংস থামল 61 রানে । বাংলার সেট ব্যাটারকে ফেরালেন জয়দেব উনাদকাট । মনোজ-অনুষ্টুপের 99 রানের জুটি ভাঙতেই স্বস্তি নামল সৌরাষ্ট্র শিবিরে। ব্যাট একটু আগে চালাতেই গালিতে ঈশ্বররাজ জাদেজার হাতে ধরা পড়লেন। সাবলীল ব্যাটিংয়ের মাঝে ছোট ভুলে বড় ধাক্কা ।
পরিস্থিতি কঠিন হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলছিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা । মিরাকেলের আশায় ছিলেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি । একইসঙ্গে দ্বিতীয় দিনে দলের বোলারদের খারাপ পারফরম্যান্স নিয়েও সরব হয়েছিলেন। অধিনায়কের সমালোচনায় দগ্ধ হয়েই তৃতীয়দিন সকালে নিজেদের শুধরে নিলেন মুকেশ কুমার, আকাশদীপ, ঈশান পোড়েলরা । মাত্র 23 ওভারে সৌরাষ্ট্রের বাকি 5টি উইকেট তুলে নেন । 317 রানে দিন শুরু করে দু'ঘণ্টার মধ্যে সৌরাষ্ট্র থামল 404-এ ।