কলকাতা, 13 জুলাই : কী বলব বলুন তো ? কী বলার থাকতে পারে ? যশ নেই এটাই তো ভাবতেই পারছি না । সকালে উঠে খবরটা শোনার পর বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে পারিনি । যশপাল শর্মার সহপাঠী, একসময়ের সতীর্থ অশোক মালহোত্রা ৷ বাড়িতে হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হয়েছে 1983-র ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য যশপাল শর্মার ৷ সুস্থ সবল যশপালের মৃত্যুর খবরে হতবাক মালহোত্রা ৷
যশপাল শর্মার ফিটনেস নাকি ছিল ঈর্ষা জাগানোর মতো ৷ স্মৃতির পাতার ডুব দিয়ে অশোক মালহোত্রা বললেন, "এক স্কুলে পড়তাম । রণজি ট্রফি, দলীপ ট্রফি, ভারতীয় দলে একসঙ্গে খেলেছি । আমাদের সময়ে ফিটনেস নিয়ে এত কড়াকড়ি ছিল না । কিন্তু যশপাল ফিটনেসের গুরুত্ব বুঝেছিল । সবচেয়ে বেশি ফিট ছিল । ফিল্ডিং ছিল অনবদ্য । একনাথ সোলকারের পরে এত ভাল ফিল্ডার সেই সময় ছিল না । অসম্ভব ফিট মানুষটাই কি না হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেল !"
সতীর্থ হিসেবে কেমন ছিলেন যশপাল শর্মা ? "জানেন ড্রেসিংরুম মাতিয়ে রাখত । টেনশন নয় উপভোগ করে দলকে তাতিয়ে রাখার কথা বলত । প্রকৃত অর্থেই ছিল টিমম্যান । দেশ আজ একজন ফিটনেস সচেতন ক্রিকেটারকে হারাল । কপিল দেবের খুব কাছের মানুষ ছিল । আমাদের তিনজনের বন্ধুত্ব অটুট । জানি না ক্যাপ্টেন কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেবে । তুই তো সবচেয়ে ফিট ছিলি, সবার আগে চলে গেলি । যেখানেই থাকিস ভাল থাকিস । দেখা হবে ৷" এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলে গিয়েছেন অশোক মালহোত্রা । পঞ্জাব থেকে বাংলার হয়ে খেলতে চলে এসেছিলেন তিনি । কিন্তু প্রিয় যশের সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট । যা ছিন্ন হল মৃত্যুতে ।