পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / sports

Ranji Trophy 2022-23: শেষদিকে ব্যাটিং ব্যর্থতা সত্ত্বেও বড় রান বাংলার, বিপক্ষের ইনিংস ভাঙার কাজ শুরু ঈশানদের - বিপক্ষের ইনিংস ভাঙার কাজ শুরু ঈশানদের

রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে বাংলা প্রথম ইনিংসে 438 রান করে (Bengal Bundled Out for 438 Runs)। দ্বিতীয় দিনে 307 রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে খেলা শুরু করে 438 রানে ইনিংস শেষ। নির্দিষ্ট লাইনে বল করে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের চাপে রাখার কাজটা শুরু করেছিলেন শাহবাজ আহমেদ এবং মুকেশ কুমার। পরবর্তী সময়ে তা জারি রেখে মধ্যপ্রদেশকে ভাঙেন আকাশদীপ এবং ঈশান পোড়েল। এখনও 382 রানে এগিয়ে মনোজ তিওয়ারির দল ৷

Ranji Trophy 2022 23
রঞ্জিতে বাংলা

By

Published : Feb 9, 2023, 7:38 PM IST

কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি: ব্যাটারদের পরে এবার পালটা দিচ্ছেন বাংলার বোলাররা। বাংলার 438 রানের জবাবে দিনের শেষ দফায় ব্যাট করতে নেমে মধ্যপ্রদেশ দুই উইকেটে 56। ক্রিজে রয়েছেন সারাংশ জৈন (17) এবং অনুভব আগরওয়াল (8)। ফিরে গিয়েছেন দুই ওপেনার যশ দুবে (12) এবং হিমাংশু মন্ত্রী (23)। নিষ্প্রাণ উইকেটে অসমান বাউন্স এবং ঘূর্ণিকে কাজে লাগাতে বাংলার বোলিং শুরু করেন শাহবাজ আহমেদ এবং মুকেশ কুমার। নির্দিষ্ট লাইনে বল করে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের চাপে রাখার কাজটা শুরু করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে তা জারি রাখলেন আকাশদীপ, ঈশান পোড়েল, প্রদীপ্ত প্রামাণিক, করণ লালরা। মধ্যপ্রদেশকে ভাঙার কাজ শুরু করেন আকাশদীপ এবং ঈশান পোড়েল। আপাতত 382 রানে পিছিয়ে মধ্যপ্রদেশ।

307 রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে খেলা শুরু করে দ্বিতীয়দিন 438 রানে ইনিংস শেষ হয় বাংলার। এদিন 131 রানে বাকি ছয় উইকেটের পতন হয় মনোজব্রিগেডের। ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে প্রাথমিক ঝটকা সামলে দলকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছিল অনুষ্টুপ মজুমদার এবং সুদীপ ঘরামির ব্যাট। জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে পাঁচশো রানের স্বপ্ন ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়দিন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি এবং টেল এন্ডাররা তা সফল করতে ব্যর্থ।

প্রথমদিনের ভুল শুধরে মধ্যপ্রদেশের বোলাররা দিনের শুরু থেকেই সঠিক লাইনে বল করতে থাকেন। ফলে ম্যাচের রাশ বাংলার ব্যাটারদের হাত থেকে আলগা হতে থাকে। পাঁচদিনের ম্যাচে যত বেশি সময় ক্রিজে থিতু হওয়া যায় তত রান পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। অনুষ্টুপ এবং সুদীপ সেই তত্ত্ব মেনেই বড় রানেপ ইনিংস গড়েছিলেন। শাহবাজ আহমেদ এবং মনোজ তিওয়ারি সেই ভাবনায় ব্যাট করতে শুরু করলেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। শাহবাজ আহমেদ ব্যক্তিগত 14 রানে ফিরে যান।

আরও পড়ুন:অনুষ্টুপ-সুদীপের জোড়া সেঞ্চুরি, রঞ্জি সেমিফাইনালের প্রথমদিনই চালকের আসনে বাংলা

গৌরব যাদবের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক হিমাংশু মন্ত্রীর হাতে ধরা পড়েন। প্রাথমিক জড়তা কাটিয়ে মনোজ সবে থিতু হচ্ছিলেন, কিন্তু কুমার কার্তিকেয়র একটি বল আচমকা লাফিয়ে ওঠায় সামলাতে পারেননি। ব্যক্তিগত 42 রানে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের হাতে ধরা পড়েন। শাহবাজের পরে মনোজ দলকে টানছিলেন অভিষেক পোড়েলকে সঙ্গী করে। মনোজ ফিরে যাওয়ার পরে ইনিংস গড়ছিলেন অভিষেকই।

তাঁর 102 বলে আটটি বাউন্ডারিতে সাজানো 51 রানের ইনিংসের যবনিকা নামে রান-আউটে। অভিষেকের আউটের জন্য প্রদীপ্ত প্রামাণিকের স্বার্থপরতাকে দায়ী করা যেতে পারে। 419 রানের মাথায় অভিষেকের ফিরে যাওয়ার পরে মাত্র 19 রান যোগ হয় বাংলার ইনিংসে। প্রদীপ্ত (21), আকাশদীপ 6, মুকেশকুমার 2, ঈশান পোড়েল শূন্য রানে ফিরে যান।

আরও পড়ুন:ইন্দোরের স্পিন সহায়ক উইকেটে 2 স্পিনারে খেলবে বাংলা

হোলকার স্টেডিয়ামের বাইশগজ ক্রমেই নিষ্প্রাণ হচ্ছে। এই উইকেটে মধ্যপ্রদেশ ব্যাটারদের চাপের পাহাড়ের সামনে দাঁড় করাতে আরও অন্তত চল্লিশ রান দরকার ছিল। তাহলে বোলারদের কাজটা স্বস্তির হত। দেশের সেরা বোলিং আক্রমণ বাংলার। সাড়ে চারশোর কাছাকাছি রানের পুঁজি নিয়ে মধ্যপ্রদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলার কাজটি আকাশদীপ, ঈশান, মুকেশ, শাহবাজদের হাতে।

ABOUT THE AUTHOR

...view details