মুম্বই, 2 এপ্রিল : আন্দ্রে রাসেলের ব্যাট যেদিন কথা বলে সেদিন তাঁর দলকে যেন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দল মনে হয় ৷ শুক্রবারের ওয়াংখেড়েতে যেমনটা মনে হল নাইট রাইডার্সকে দেখে ৷ স্কোরবোর্ডে 137 রান যে নিরাপদ নয়, তা ভালই জানতেন পঞ্জাব অধিনায়ক ময়াঙ্ক আগরওয়াল ৷ তাই বলে 33 বল বাকি থাকতে যে নাইটরা রান তাড়া করে দেবে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি অতি বড় ক্রিকেট বোদ্ধারাও ৷ রাসেল সেটাই সম্ভব করলেন বাস্তবের রুক্ষ মাটিতে দাঁড়িয়ে ৷ রুক্ষ কারণ, মেগা নিলামের আগে তাঁকে রিটেইন করা নিয়ে কম কথা হয়নি ৷ ম্যানেজমেন্টের বাপ-বাপান্ত করতেও ছাড়েননি অনুরাগীরা ৷ সেইসব নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে এদিন যেন 2019-এ ফিরলেন দ্রে রাস ৷ ধ্বংসও যে কত সুন্দর হতে পারে দেখল ক্রিকেটদুনিয়া ৷ জামাইকান দৈত্যের ব্যাটিং ঝড়ে কার্যত খড়কুটোর মত উড়ে গেল পঞ্জাব ৷ প্রীতির দলকে 6 উইকেটে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে শাহরুখের কেকেআর (KKR beat Punjab Kings By Six Wickets) ৷
সবচেয়ে বড় কথা যে ইতিবাচক রান-রেটে দলকে এদিন পৌঁছে দিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা, তা পরের দিকে সম্পদ হতে পারে ৷ পঞ্জাব বোলারদের ঠেঙিয়ে রাসেল করলেন 31 বলে অপরাজিত 70 (Andre Russell hits 70 runs from just 31 balls) ৷ যা সাজানো 8টি বিশাল ছক্কা এবং 2টি চারে ৷ 51 রানে 4 উইকেট হারিয়েও 14.3 ওভারে রান তুলল নাইটরা ৷ রাসেল ঝড়ে ঢেকে গেল ফের দলের ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা ৷ যে ওডেন স্মিথ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে রান তাড়া করে নায়ক বনে গিয়েছিলেন, জামাইকান মায়েস্ত্রোর সামনে এদিন বল হাতে তাঁর অসহায় অবস্থা ৷ রাসেল-বিলিংস মিলে স্মিথের একটি ওভারে নিলেন 30 রান ৷ রাহুল চাহারের 4 ওভারে 13 রান খরচ করে 2 উইকেট নেওয়ার কীর্তিও এদিন ফিকে রাসেল-তাণ্ডবে ৷