"ফর্সা হতে একসময় ফেয়ারনেস প্রোডাক্ট মেখেছি" - শ্রুতি দাসের খবর
আজ সেই 'ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি' থেকেই 'ফেয়ার' উধাও হতে চলেছে । আর হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের এই সিদ্ধান্তে খুশি অভিনেত্রী 'ত্রিনয়নী' শ্রুতি দাস ।
কলকাতা : কঙ্গনা রানাওয়াত, সাই পল্লবীর মতো আরও অনেক অভিনেত্রী গায়ের রং ফর্সা করবে এমন প্রসাধনীর বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে বরাবরই গলা তুলেছেন । গায়ের রং নিয়ে মানুষের খুঁতখুঁত, কটূক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন নন্দিতা দাস বা রিচা চড্ডার মতো অভিনেত্রীরাও । অবশেষে শ্যামবর্ণাদের মুখে হাসি ফুটেছে । কারণ, ফর্সা করার এই প্রচার ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হচ্ছে আমাদের সমাজ থেকে । যে সমাজ এতকাল ধরে শ্বেতবর্ণকেই সৌন্দর্য হিসেবে মান্যতা দিয়ে এসেছে, সেই সমাজে দাঁড়িয়ে হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের মতো বড় কোম্পানি তাদের 'ফেয়ার এন্ড লাভলি' ক্রিমের নামটি থেকে 'ফেয়ার' শব্দটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । তাতে কৃষ্ণকলীদের মনের বল দ্বিগুণ হয়েছে । এই প্রসঙ্গে ETV ভারত সিতারার সঙ্গে কথা বলেছেন টেলিজগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রুতি দাস ।
'ত্রিনয়নী' ধারাবাহিকের লিড অভিনেত্রী শ্রুতি দাস ফর্সা হওয়ার জন্য নিজেও একসময় ফেয়ারনেস প্রোডাক্ট মেখেছিলেন । তিনি তাঁর মায়ের মতো ফর্সা হতে চেয়েছিলেন । সমাজের কটূক্তি বন্ধ করতে চেয়েছিলেন । আজ এই সিদ্ধান্তে কী প্রতিক্রিয়া শ্রুতির ? অভিনেত্রী বললেন, "সব ধরনের ঘটনা ঘটে যায়, তারপর পরিবর্তন আসে । কিন্তু বেটার লেট দ্যান নেভার । ভালোই হয়েছে । তবে এটা যদি আরও আগে ভাবনাচিন্তা করা হত, তাহলে ট্যাবুগুলো তৈরিই হত না । মানুষ ভেবেই নিয়েছিল, এই স্কিন প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে ফর্সা হওয়া যায় । এভাবেই ব্যবসা চলে । সত্যি কথা বলতে, ব্যবসাও তো চালাতে হবে । তবে এই প্রোডাক্টগুলো মেখে ফর্সা হওয়ার বিষয়টা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয় ।"