আজ, 8 নভেম্বর কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে নবনীতা দেবসেনের। তাঁর পার্থিব দেহ বাসভবন থেকে প্রথমে নিয়ে আসা হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার এই শেষ যাত্রায় সঙ্গী হিসেবে অন্যান্য প্রিয়জনদের সঙ্গে রয়েছেন দুই মেয়ে নন্দনা এবং অন্তরা। নবনীতার কনিষ্ঠা কন্যা অভিনেত্রী নন্দনা সেন ETV ভারত সিতারাকে বলেন, "আমার মা অনেকদিন ধরে খুব অসুস্থ ছিলেন। খুব মনের জোর দিয়ে, সাহস দিয়ে, মনোবল দিয়ে সেটার সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। মায়ের জীবনীশক্তি অসাধারণ, আপনারা সকলেই সেটা জানেন। মায়ের ভালোবাসার ক্ষমতা, ভালোবাসা পার ক্ষমতা অতুলনীয়, মায়ের সময় কমে যাচ্ছিল..."
"রোজই ফোন করতেন বাবা, খুব দুঃখ পেয়েছেন", অমর্ত্য সেন প্রসঙ্গে মেয়ে নন্দনা
দুই মেয়ে অন্তরা এবং নন্দনা, প্রাক্তন স্বামী নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, পরিবারের প্রিয়জন, ছাত্র-ছাত্রী, সাহিত্যানুরাগী এবং কবিতা প্রিয় মানুষদের কাছে সময়টা অত্যন্ত দুঃখের। তাঁদের সকলের প্রিয় নবনীতা দেব সেন ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে পরলোকগমন করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে মরণঘাতী ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন শিক্ষিকা, সাহিত্যিকা, কবি, পদ্মশ্রী প্রাপক, সাহিত্য অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত নবনীতা দেব সেন। 7 নভেম্বর হিন্দুস্থান পার্কে নিজের বাসভবন ভালো-বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত কন্যা অভিনেত্রী নন্দনা সেন।
বলতে বলতে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন নন্দনা। বলেন, "সেটা আমরা জানতাম। যদিও মায়ের চলে যাওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার প্রয়োজন ছিল। বলতে পারি না সেটা রয়েছে। কোনও মেয়ের সেই প্রস্তুতি থাকে না।" চোখের জল ফেলেন নন্দনা।
প্রসঙ্গ ওঠে বাবা অমর্ত্য সেনের। প্রাক্তন স্ত্রী নবনীতা দেবসেনের প্রয়াণে তিনি কতটা ব্যতীত, উত্তরে নন্দনা বললেন, "রোজই ফোন করতেন বাবা। খুবই দুঃখ পেয়েছেন। খুবই কন্সার্নড। বাবার সঙ্গে মায়ের কথা হয়েছে। আবার জন্মদিন ছিল দু-তিনদিন আগে। বাবার সঙ্গে মায়ের কথা হত। আমাদের সঙ্গে তো রোজই অনেকবার কথা হয়। মায়ের যখনই শরীর একটু ভালো থাকত, বাবা আর মায়ের কথা হত।"