কলকাতা, 28 নভেম্বর:বাবার পারলৌকিক ক্রিয়ার পর ফের নিজের ঘরে, অর্থাৎ 'দিদি নম্বর ওয়ান'-এ ফিরলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee back to Didi No. 1 set) ৷ শুটিংয়ে ফিরে আবেগে ভাসলেন তিনি ৷ আগামী সোমবার থেকে ফের এই শোয়ে দেখা যাবে তাঁকে ৷ এখন খোলা মাঠে চলছে পিকনিক স্পেশাল এপিসোড ।
বাবার পারলৌকিক ক্রিয়া (Rachna Banerjee's father's Shraddha ceremony) মিটিয়ে সোমবার থেকে ফের 'দিদি নম্বর ওয়ান'- এর মঞ্চে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় । শনিবার থেকে শুরু করলেন শুটিং । এ দিন শুটিংয়ে এসে লাইভে নিজেই জানান নিজের কামব্যাকের কথা ।
প্রথম দিনের শুটিংয়ে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী । বাবাকে হারানোর শোক আর পাঁচজনের মতো তিনিও সামলে উঠতে পারছেন না । তিনি বলেন, "আজ বাড়ি ফিরতে দেরি হলে কেউ বলবে না দেরি হল কেন ?" লাইভে এসে দর্শকদের কৃতজ্ঞতা জানান সঞ্চালিকা । একইসঙ্গে তাঁর অনুপস্থিতিতে সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee in Didi No. 1) ও সৌরভ দাসের (Sourav Das in Didi No. 1) দক্ষতার সঙ্গে এপিসোড এগিয়ে নিয়ে যাওয়াকে কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি । জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতাও ।
আরও পড়ুন:Sudipa Chatterjee in Didi No 1: বাবার পারলৌকিক কাজে ব্যস্ত রচনা, দিদি নম্বর ওয়ানের দায়িত্বে সুদীপা-সৌরভ
সঞ্চালিকার অনুপস্থিতিতে সাড়া পড়ে গিয়েছিল নেট দুনিয়ায় । "দিদিকে চাই দিদিকে চাই"- বলে গলা ফাটিয়েছিলেন অনেকেই । তবে বাবাকে হারানোর শোক সামলে তখনই কাজে ফেরা সম্ভব ছিল না তাঁর । এগারো দিনের পারলৌকিক কাজ সেরে সেটে ফিরলেন রচনা ।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা তাঁর কাছে কেবল বাবা ছিলেন না, ছিলেন বন্ধু, ফিলোজফার এবং গাইড । কেরিয়ারের শুরুতে ওড়িশা এবং হায়দরাবাদেই অধিক কাজ করেছেন অভিনেত্রী । সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছায়ার মতো পাশে থাকতেন তাঁর বাবা । কলকাতায় ঘর সামলাতেন অভিনেত্রীর মা । আর মেয়েকে নিয়ে ছুটে বেড়াতেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় । অভিনেত্রী নিজেই বলেছেন, "আজ আমি যতটুকু, তা সবই বাবার জন্য । বাবা পাশে না থাকলে কেউ আমায় চিনত না ।"
আরও পড়ুন:Rachna Banerjee: বাবাকে হারিয়ে শোকাহত রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
দর্শকের টানেই ফ্লোরে ফিরলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় । বাবাকে হারানোর শোক একান্তে সামলানোর সুযোগই তিনি পেলেন না । তাঁকে ছাড়া দিদির মঞ্চ অচল । তাই ছুটির কথা ভুলে রাতারাতি তাঁকে কাজে ফিরতে হল । এ দিন সঞ্চালিকা বলেন, "আজ বাবা আমার সঙ্গে থাকলে কি আমি ছুটি নিতে পারতাম ? পারতাম না । তাই সকলের মাঝে ফিরে হাসিকে খুঁজব । প্রতিযোগীরাই আমায় হাসিয়ে রাখে সবসময় ।"