কলকাতা, 9 সেপ্টেম্বর :'সর্বজয়া' (Sarbajaya)-কে টেক্কা দিতে চায় সহচরী । কে এই সহচরী ? সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তাঁকে চেনা খুব একটা কঠিন কাজ নয় । 13 সেপ্টেম্বর থেকে বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় আসছে নতুন বাংলা ধারাবাহিক ‘আয় তবে সহচরী’ (Aye Tobe Sohochori )। এখানে সহচরীর চরিত্রে দেখা যাবে কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Koneenica Banerjee)। আর সহচরীর যে সহচরী তাঁর নাম বরফি ৷ আসল নাম অরুণিমা ।
মাঝবয়সি সহচরী একজন নিপাট গৃহবধূ । সকলের ভালো থাকা নির্ভর করে তাঁর শ্রম, সচেতনতা আর যত্নের উপর । অথচ এই সহচরীই জীবনে বড় একা । কোনও বন্ধু নেই তাঁর । সহচরীর স্বপ্ন, সে উচ্চশিক্ষিত হবে । গোল্ড মেডেলিস্ট হবে । কিন্তু এই মাঝবয়সি এক মহিলা কীভাবে লেখাপড়া এগিয়ে নিয়ে যাবে ? স্বপ্ন যখন দেখেছেই, তখন ধারাবাহিকের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী গল্পের নায়িকার স্বপ্ন তো সফল হবেই ! কিন্তু কীভাবে, কার প্রেরণায়, কার সাহচর্যে পূরণ হবে সেই স্বপ্ন ? বোঝাই যায় বরফির সাহচর্যে । বাকিটা সময় বলবে । ঘটনার ঘনঘটা কীভাবে জমে সেটাই দেখার ৷
‘অন্দরমহল’-এর পর বেশ অনেকদিনের ব্রেক নিয়ে টেলিভিশনে ফিরলেন কণীনিকা । ইটিভি ভারতের তরফে জানতে চাওয়া হয়, কোথাও কী ‘অন্দরমহল’-এর পরমেশ্বরীর সঙ্গে সহচরীর মিল খুঁজে পাও ? কণীনিকার জবাব, “পরমেশ্বরী কিংবা সহচরী, তাঁরা সকলেই আমাদের সকলের খুব চেনা । আমাদের বড়িতেও আছেন তাঁরা । যেমন আমাদের মা, তাঁকে ছাড়া আমাদের এক মুহূর্তও চলে না । অথচ তাঁর জন্যই আমাদের সময় নেই । এতটাই ব্যস্ত আমরা । আমি যখন পরমেশ্বরী করতাম তখন আমি কিয়া (কণীনিকার মেয়ে)-র মা হইনি । আজ আমি রিয়েল লাইফেও একজন মা । আবার সহচরীও কিন্তু একজন মা । খুব সুন্দর নিজের রিয়েল আর রিল লাইফটা এক সুতোয় বেঁধে উপভোগ করব আমি ।"
আরও পড়ুন:Nusrat Jahan : যে বাবা, সে জানে সে-ই বাবা; স্পষ্ট নুসরত
অরুণিমার কথা বলতে গিয়ে কণীনিকা বলেন, "আমি মনে মনে এখনও সিক্সটিন । তাই অরুণিমার মতো একজন কলেজ পড়ুয়ার সঙ্গে আমার দারুণ ভাব জমেছে অফস্ক্রিনে । একইভাবে সহচরীর কলেজে প্রাণের সই হয়ে ওঠে বরফি । ফলে, সহচরীও মানসিকভাবে সিক্সটিন বলতে পারো । আসলে বন্ধুত্বের কোনও বয়স হয় না । আমার বেশিরভাগ বন্ধু আমার থেকে 20-25 বছরের বড় । তাঁরা সকলেই আমায় নিজেদের অনেক টপ সিক্রেট শেয়ার করেন । এমনকী আমার বোন আমার থেকে 6 বছরের ছোট । সেও তাঁর সিক্রেটস আমার কাছে খোলসা করে । পরমেশ্বরী তাঁর স্বামীর আগের পক্ষের মেয়ে জুজুর খুব ভাল বন্ধু হয়ে উঠেছিল । সেখানেও কিন্তু অসম বয়সের বন্ধুত্ব ছিল । সুতরাং সহচরী এবং পরমেশ্বরীর মধ্যে এই জায়গায় মিল তো আছেই ।”