কলকাতা : সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন অভিনেতা জিতু কমল ও অভিনেত্রী নবনীতা দাস। আগামী ৬ মে চারহাত এক হতে চলেছে টেলি দুনিয়ার এই অভিনেতা-অভিনেত্রীর। বিয়ে হবে পাত্রীর বাড়ি গড়িয়ায়। আর রিসেপশন ৮ তারিখ হাইল্যান্ড পার্কের কাছে উদিতা অ্যাপার্টমেন্টের কমিউনিটি হল উপলক্ষ্য-এ। 'অর্ধাঙ্গিনী' ধারাবাহিকের সেটে প্রথম দেখা হয় জিতু-নবনীতার। একে অপরের প্রতি ভালো লাগা থেকে কখন যে সেটা গড়িয়ে গেল প্রেমে। আর তা থেকে বিয়েতে, সবটাই যেন স্বপ্নের মতো মনে করেন দু'জনে।
জিতু বলেন, " জানেন আমরা কেউ কাউকে প্রপোজ করিনি। ভালো লাগা ছিল, ভালোবাসাও ছিল। বিয়েটা হঠাৎই ঠিক হয়ে যায়। আমি প্রায় ১০-১২ বছর এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। নবনীতার মতো কাউকে পাইনি। খুব ভালো মেয়ে। ভীষণ মাটির মানুষ। এখন আমরা 'মহাপীঠ তারাপীঠ' ধারাবাহিকে একসঙ্গে কাজ করছি। ওর বাড়ি গড়িয়ায়। বিয়েটা ওর বাড়িতেই হবে। মে মাসের ৬ তারিখ। আর ৮ তারিখ রিসেপশন, উপলক্ষ্য কমিউনিটি হলে।"
জিতু কামাল আরও বলেন, "একটা ভালো ব্যাপার, একটা খারাপ ব্যাপার রয়েছে। ভালো বিষয়, বিয়েটা হচ্ছে। আর খারাপ বিষয়, এত তাড়াতাড়ি হচ্ছে। আরও দেরি করে হলে অনেক সময় পেতাম গোছগাছের। যাইহোক বিয়ে হচ্ছে, এটাই বড় কথা।"
নবনীতার কিছুদিন আগে টিউমার অপারেশন হয়েছে। তাই শারীরিকভাবেও তিনি এখন বেশ দুর্বল। যদিও সেই দুর্বলতাকে বিয়ের আনন্দ কাবু করে ফেলেছে। নবনীতা বলেন, " আমিই এগিয়ে গিয়েছিলাম। বলতে পারেন, নিজেই নিজের বিয়ের ঘটকের কাজ করেছি। 'অর্ধাঙ্গিনী' ধারাবাহিকে স্ক্রিন শেয়ার করলেও, তেমনভাবে কথা হত না। কথা হয় শুটিং শেষ হওয়ার পর। আমি ওকে খালি অবজার্ভ করতাম। জিতু আমার থেকে অনেকটা সিনিয়র। প্রায় ১০-১২ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে আছে। আমি আছি ২০১৫ সাল থেকে। শুরুর দিকে বেশ ভুলভাল মানুষের পাল্লায় পড়ে গিয়েছিলাম। নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে নিজের মতো জীবন কাটাতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু জিতু একেবারে আলাদা। আমি যেমন ছটফটে, ইমোশনাল গোছের মানুষ। জিতু আমার ঠিক উল্টো। ও খুব প্রাক্টিক্যাল, ধীর-স্থির এবং কেয়ারিং। বাবা-মা, পরিবারের সকলকে খুব আগলে রাখে। আমি চেয়েছিলাম আমাকেও খুব আগলে রাখুক কেউ। জিতু আমাকেও আগলে রাখে। সত্যিকারে রেগে যাওয়ার মতো ঘটনা হলেই রাগ করে। যে কারণে ওর রাগটাও আমার ভালো লাগে। বিয়েটা এত তাড়াতাড়ি হচ্ছে আমার শারীরিক কারণে। না হলে নভেম্বরে হত। এর মাঝে ডেট পাওয়া যায়নি।"