সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় ইন্দ্রানী হালদারের একটি ভিডিয়ো ঘোরাফেরা করছে। একটি অনুষ্ঠানেই অভিনেত্রীকে 'বড় আশা করে এসেছি' রবীন্দ্রসংগীতটি গাইতে দেখা যায়। সেই ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় সামনে আসতেই ভাইরাল হয়। কমেন্টর পর কমেন্টে চলতে থাকে সমালোচনা।
কেউ ইন্দ্রানীকে মদ্যপ বলছেন তো, কেউ বলছেন, "এভাবে অশ্লীল ইঙ্গিতে রবীন্দ্রসংগীত গাইতে লজ্জা করে না।" আবার অনেকেই ইন্দ্রানীকে "বাংলার কলঙ্ক" বলে কটাক্ষ করেন। তবে সোশাল মিডিয়াতেই ঘটনাটি সীমিত থাকেনি। ইন্দ্রানীর এই ভিডিয়ো পৌঁছেছে বাংলা টেলিজগত ও সংগীতজগতের অনেকের কাছেই। তাঁরাও রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।
অভিনেত্রী বিদীপ্তা চক্রবর্তী সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, "পাবলিকলি রবিঠাকুরের গান নিয়ে কুরুচিকর ছ্যাবলামো বন্ধ হোক।" সেই পোস্টে কমেন্ট করে শ্রীলেখা মিত্র বলেন, "কী আর বলি, খুব লজ্জিত।"
রবীন্দ্রসংগীত ও আধুনিক সংগীতশিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য বলেন, "গানবাজনাকে শুধুই 'বিনোদন'-এর একটা কমার্শিয়াল প্রোডাক্টিভ টুল বানাতে বানাতে পরিস্থিতি মাঝে-সাঝে সেইখানে পৌঁছে যাচ্ছে, যেখানে ছ্যাবলামি ছাড়া আর কিছু করার নেই। কিন্তু মানুষের ধারণার বাইরে যে তাঁরা কী করবে, আর ভেবে পাচ্ছে না। বিনোদনের একটা দিক অবশ্যই আছে ও থাকবেও, কিন্তু সেটাই যদি কোনও কোনও সাংগীতিক কার্যকলাপের চূড়ান্ত লক্ষ্য হয়, তবে গানবাজনার পবিত্রচা বলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না। যে বা যারা গাইছে, কেবল তাঁরাই নয়, যাঁরা তথাকথিত 'শ্রোতা' বা এই বিনোদনের গ্রহীতা, তাঁরাও সেই ছ্যাবলামিতেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।"
ইন্দ্রানী হালদারের ভিডিয়োটির সমালোচনায় মুখ খুলেছেন চৈতালি দাশগুপও। তাঁর কথায়, "দেখলাম ভিডিয়োটা ভয়ংকর। কিন্তু, ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় শুধু শ্রোতা বা দর্শক নয় পাঠকদের ও বাধ্য করা হচ্ছে বিকৃত ও অসত্য তথ্য নিয়ে ব্ই লিখে,তা পড়তে, বন্ধ করতে পারছি কি ? "