কলকাতা, 24 জানুয়ারি: গান্ধিজির পর এবার মাইকেল মধুসূদন দত্তর চরিত্রে দেবপ্রিয় মুখোপাধ্যায় । 'করুণাময়ী রানি রাসমণি' (Karunamoyee Rani Rashmoni) ধারাবাহিকে ফিরছেন তিনি ।
'নেতাজি' ধারাবাহিকে মহাত্মা গান্ধির চরিত্রে দেখা গিয়েছিল দেবপ্রিয়কে (Debopriyo Mukherjee to act as Michael Madhusudan Dutt)। অভিনয় করেছেন 'আরব্য রজনী' ধারাবাহিকে 'আলিবাবা চল্লিশ চোর' গল্পে ডাকাত সর্দারের চরিত্রে । আর এবার তাঁকে দেখা যাবে 'করুণাময়ী রানি রাসমণি' ধারাবাহিকে । নিজের লুক সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অভিনেতা ।
কদিন আগেই শেষ করেছেন রাজা চন্দ পরিচালিত বাংলা ছবি 'সেভিংস অ্যাকাউন্ট', অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী পরিচালিত হিন্দি ছবি 'লস্ট'-এর শুটিং । সামনেই আছে বাংলা ছবি 'একেন বাবু'র কাজ । তার মাঝেই বাংলা টেলিভিশনে ব্যস্ত হলেন অভিনেতা ।
আরও পড়ুন:Chiranjeevi greets Jisshu For Baba baby o: 'বাবা বেবি ও' ছবির ট্রেলার দেখে যিশুকে শুভেচ্ছা জানালেন চিরঞ্জিবী
দেবপ্রিয় (Debopriyo Mukherjee in Karunamoyee Rani Rashmoni) এদিন ইটিভি ভারতকে বলেন, "প্রচণ্ড টেনশনে আছি কাজটা নিয়ে । খুব ডিফিকাল্ট একটা চরিত্র । উনি যে সব কবিতা লিখতেন, সেগুলো ছাত্রজীবনেও পড়তে গিয়ে গায়ে জ্বর আসত । এখন সেগুলো পড়ে মুখস্থ করে অভিনয় করতে করতে বলাটা আরও কঠিন একটা জিনিস । তবে, পরিচালক শিবাংশুদা ধরে ধরে কাজটা করাচ্ছেন । বুঝতে পারছেন আমার একটু অসুবিধা হচ্ছে । পাশাপাশি অন্যান্য কাস্টরাও সাহায্য করছেন আমায় । অভিনেতা সুমন দে খুব সহায়তা করছেন । উৎসাহ দিচ্ছেন । প্রথম দিনই সেটে গিয়ে বুঝেছিলাম একটা কঠিন দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছি । যে কোনও চরিত্র করার আগে আমি অনেকটা রিসার্চ করি । কিন্তু এটা এমনই একটা চরিত্র, যেটাতে রিসার্চ করার জন্য তেমন মেটেরিয়াল নেই হাতের কাছে । যা আছে তা ওঁর লেখা চিঠিপত্তর । তাও আবার ইন্টারনেটে । তাঁকে নিয়ে যা লেখালিখি হয়েছে, তা সবই তাঁর সাহিত্য নিয়ে । তিনি বন্ধুদের যে চিঠিগুলি লিখেছিলেন, তার থেকে বোঝা যায় তিনি ব্যক্তিগত জীবনে কেমন ছিলেন । সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ও লিখেছেন তাঁকে নিয়ে । চিঠি পড়ে যতদূর বোঝা যায় তা হল, খুব কন্ট্রোভার্সিয়াল চরিত্র ছিল তাঁর । সেই সময়ে দাঁড়িয়ে তিনি ধর্ম ত্যাগ করেছিলেন, বাঙালি বা আমাদের ভারতীয় সভ্যতা ত্যাগ করে ইউরোপিয়ান হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন । আবার শেষ জীবনে গিয়ে বুঝতে পারেন যে, না উনি ভারতীয় শিকড়গুলো ধরে রাখতে পেরেছেন, না ইউরোপীয়ান হয়ে উঠতে পেরেছেন । তিনি লেখালিখি শুরু করেন ইংরেজিতে ৷ সেগুলোও খুব একটা গ্রহণযোগ্য হয়নি বা চর্চিত হয়নি । তারপর বাংলায় লেখা শুরু করেন । নিজেই বুঝেছিলেন, নিজের ঘরের ভাণ্ডার ছেড়ে পরের ভাণ্ডার আঁকড়েছিলেন তিনি । ওই সব দিকই তুলে ধরা হবে এই ধারাবাহিকে ।"
আরও পড়ুন:Tiyasha roy to present Rannaghar: রান্নাঘরের দায়িত্বে 'কৃষ্ণকলি' তিয়াসা রায়
দেবপ্রিয় আরও বলেন, "খুব ইন্ডিসিপ্লিন্ড ছিলেন তিনি । সেগুলো টেলিভিশনে দেখানোও খুব কঠিন । কিছু রেস্ট্রিকশন থাকে টেলিভিশনে । আমি গান্ধি চরিত্রে অভিনয় করার পর ভেবেছিলাম যে খুব প্রচলিত চরিত্রে আর কাজ করব না । এর মাঝেও কয়েকটা চরিত্র পেয়েছি বটে । তবে তেমন একটা আগ্রহ পাইনি । তারপর এটা এল । তাঁর চিঠিপত্র খুঁজে বের করে রিসার্চ করছি ৷ চাপে আছি খুব । এ রকম চরিত্রই একজন অভিনেতা চান, যেখানে প্রচুর খাটতে হবে । খুব চ্যালেঞ্জিং চরিত্র পেয়ে খুশি আমি ।"