কলকাতা, 27 অক্টোবর: বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় আসছে নতুন ধারাবাহিক 'খুকুমণি হোম ডেলিভারি' (Khukumoni Home Delivery)। এক রন্ধন পটীয়সী বাপ-মা হারা লড়াকু মেয়ের গল্প বলবে স্নেহাশিস চক্রবর্তী প্রযোজিত এই ধারাবাহিক ।
1 নভেম্বর থেকে বাড়িতে রান্নাবান্নার পাট চুকিয়ে ফেলুন । আপনার ঘরে আসছে 'খুকুমণি হোম ডেলিভারি'। গল্পের নায়িকা খুকুমণি রন্ধন পটীয়সী । সাধারণ উপকরণ দিয়ে কীভাবে অসামান্য রান্না করা যায়, তা সে জানে । সে তার এই হাতের জাদুকে কাজে লাগায় ব্যবসায় । সে হোম ডেলিভারি খুলেছে । স্কুটিতে চেপে লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সে খাবারও পৌঁছে দেয় । মামা-মামীদের হাতে ব্যবসার টাকা তুলে দেয় সে । খুকুমণি লড়াকু হলেও আর পাঁচজন বাংলা ধারাবাহিকের নায়িকার মতো সে মুখ বুজে সব সহ্য করার পাত্রী নয় । সে গলা ফাটিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানায় । তাকে কাবু করা অত সহজ না । এ হেন এক চরিত্রে রয়েছেন দীপান্বিতা রক্ষিত (Dipanwita Rakshit)।
চ্যানেল আয়োজিত ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে এসে তিনু জানান, "খুব পছন্দের একটা চরিত্র খুকুমণি । আমি নিজের সঙ্গে চরিত্রটা রিলেট করতে পারি এই কারণে, আমিও প্রায় সব রান্নাই জানি, বিরিয়ানি আর ফুচকা বাদে । চিংড়ি মাছের মালাইকারি থেকে শুরু করে ক্রিসপি চিকেন, চিলি চিকেন, মোমো, কেক, ইডলি সব পারি আমি । এমনকী বাঙালির ঘরে যে সব রান্না প্রচলিত, তার সব আমি পারি । আমি খাইও সব । করলা থেকে শুরু করে ফুচকা, বিরিয়ানি, গলদা চিংড়ি, কাঁকড়া, পিৎজা বাদ দিই না কোনওটাই । খেতে এবং খাওয়াতে দুইই ভালোবাসি ৷ এই চরিত্রটা আরেকদিক থেকে আমার কাছে খুব চ্যালেঞ্জিং । কারণ, খুকুমণি খুব চেঁচিয়ে কথা বলে । আর দীপান্বিতা একদম চেঁচায় না । রেগে গেলেও চেঁচায় না ।"
আরও পড়ুন:Vicky-Katrina Marriage: ডিসেম্বরেই বিয়ে ভিকি-ক্যাটরিনার, সাজবেন সব্যসাচীর পোশাকে !
গল্পের নায়ক বিহান মানসিকভাবে অসুস্থ । সে সেতার বাজাতে পারে । মা নেই তার । আছে বাবা, সৎ মা আর তার ছেলে । স্বাভাবিকভাবেই সে অবহেলিত এবং অসহায় । এই চরিত্রে রয়েছেন রাহুল মজুমদার । রাহুলের এটি বাংলা টেলিভিশনে তৃতীয় কাজ । এর আগে 'দেবী চৌধুরানী' এবং 'ভাগ্যলক্ষ্মী'তে অভিনয় করেছেন তিনি । এ বারের চরিত্রটা অন্য দুটির থেকে একেবারে আলাদা । এই প্রসঙ্গে রাহুল জানান, "চ্যালেঞ্জিং এই কারণে, মানসিক ভাবে অসুস্থ আমার চরিত্রটা । ঠিক করে ফুটিয়ে তুলতে না-পারলে ক্লিন বোল্ড হব । নিজের জঁরের বাইরে গিয়ে কাজ করছি । বেশি কিছু করলে বলবে বাড়াবাড়ি । কম করলে বলবে পারছে না । তাই রাহুলকে মানে আমাকে অনেক বেশি ভাবতে হয় চরিত্রটা নিয়ে । একইভাবে কোনটা করলে ঠিক হবে আর কোনটা করলে ঠিক হবে না বুঝতে পারে না বিহান । অবহেলা পায় । তাই ক্ষুব্ধ হয় । আর তার প্রকাশ ঘটে অন্য ভাবে । তবে, চরিত্রটা খুব ভাল লাগছে । নিজেকে অন্যভাবে ভাঙার সুযোগ পেয়ে আমি খুশি । তা ছাড়া সেতার বাজানোরও কিছু কায়দা কৌশল শিখেছি ।"