পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : Jun 9, 2020, 8:47 PM IST

ETV Bharat / sitara

আগামীকাল থেকে শুরু শুটিং, খুশি জুনিয়র টেকনিশিয়নরা

রাত পোহালেই শুরু হবে টলিপাড়ার শুটিং । এ নিয়ে কী ভাবছেন জুনিয়র টেকনিশিয়নরা ? শুটিং শুরু নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া তাঁদের ? তা জানতেই কয়েকজন টেকনিশিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ETV ভারত সিতারা ।

sdf
sdf

কলকাতা : শুটিংয়ের ক্ষেত্রে জুনিয়র টেকনিশিয়নদের অবদান অপরিসীম । লকডাউনের মধ্যে হাতে কোনও কাজ না থাকায় সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছিলেন তাঁরা । শুটিং শুরু হওয়ার অপেক্ষায় তাঁরা দিন গুনছিলেন । অবশেষে প্রায় আড়াই মাস পর আসতে চলেছে সেই দিন । রাত পোহালেই শুরু হবে টলিপাড়ার শুটিং । এ নিয়ে কী ভাবছেন জুনিয়র টেকনিশিয়নরা ? শুটিং শুরু নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া তাঁদের ? তা জানতেই কয়েকজন টেকনিশিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ETV ভারত সিতারা ।

শুটিং শুরু হওয়া নিয়ে খুশি জুনিয়র টেকনিশিয়ন খোকন কুমার দাস । ইলেকট্রিকাল বিভাগে কাজ করেন তিনি । লকডাউনের আগে তিনি 'প্রথমা কাদম্বিনী' ধারাবাহিকে কাজ করছিলেন । বলেন, "শুটিং শুরু হয়ে ভালোই হচ্ছে । আমাদের কাজ করতে হবে এবং ঠিক থাকতে হবে । এখনও আমার সঙ্গে কারও কথা হয়নি । কাজ শুরু হচ্ছে । এটা অনেক বড় ব্যাপার । আমরা আর কতদিন বসে থাকব ।"

.

এতদিন কাজ না করে খুব খারাপ লাগছিল ড্রেসার কেদারনাথ সাউয়ের । বাড়ির বাইরেও বেরোতে পারেননি লকডাউনের জন্য । থাকেন উত্তর কলকাতায় । লকডাউনে জমানো টাকা দিয়ে এবং ঋণ করে সংসার চালান তিনি । বলেন, "জানি না কাল থেকে শুটিংয়ে যেতে পারব কি না । আমাদের মিটিং-টিটিং চলছে । কর্মকর্তারা এখনও পর্যন্ত আমাদের কিছু জানাননি । শুধু জানি, 10 জুন থেকে শুটিং শুরু হবে ।" তবে উত্তর কলকাতা থেকে কীভাবে যাবেন, তাই নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় আছেন তিনি । যদিও ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট স্বরূপ বিশ্বাস বলেছিলেন যাঁরা দূরে থাকেন তাঁদের বাস বা গাড়ি পাঠিয়ে নিয়ে আসা হবে । এ প্রসঙ্গে কেদারনাথ বলেন, "এটা আমি জানতাম না । আপনার থেকে প্রথম শুনলাম । এটা যদি হয়, তাহলে তো ভালো । শুটিং শুরু করার ব্যাপারটাও ভালো । এই করেই তো সংসার চালাই ।"

.

অনেক ছবি এবং ধারাবাহিকে কাজ করেছেন গোবিন্দ নস্কর । ক্যামেরার ট্রলি ঠেলেন তিনি । বলেন, "আমি আজ টেকনিশিয়ন স্টুডিয়োতে ছিলাম । কাল থেকে আমাকে শুটিংয়ে আসতে হবে কি না এই ব্যাপারে কিছু বলেনি । আমরা তো বেকার বসে আছি সেই লকডাউনের সময় থেকে । এদিক ওদিক করে সংসার চালাচ্ছি । এ দিচ্ছে চাল, ও দিচ্ছে ডাল । এই ভাবেই চলছে ।" 35জনের বেশি মানুষ থাকতে পারবেন না শুটিং ফ্লোরে । এই বিষয়ে গোবিন্দবাবু বলেন, "সেটে থাকি কিছু লোক । একজন ট্রলি করে আর একজন থাকে বাইরে । আমাদের লোকেরা তো অর্ধেক বাইরেই থাকে । সিন শেষ হলে অন্য কোথাও গিয়ে রেডি করি । তারপর আবার সবাই বেরিয়ে যায় ।"

.

ইলেক্ট্রিকাল, ড্রেসার ও ট্রলির মতোই আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হল আর্ট ডিরেকশন । কম লোক নিয়ে কাজ করা একটু মুশকিল এই বিভাগে । একথা জানিয়েছিলেন আর্টের কর্মীরাই । সেই বিভাগেরই এক কর্মী সুরজিৎ দাস বলেন, "যা হোক করে কাটিয়েছি লকডাউন । কাল থেকে কাজ শুরু হচ্ছে, বিষয়টা ভালোই লাগছে । কাজ করতে পারব । যদিও কাজে যাওয়া নিয়ে আমার সঙ্গে কারও কথা হয়নি । এখন তো কাজ কম আছে । পুরো কাজ তো শুরু হবে না । যেটুকু হবে দেখি, যদি কোনও জায়গায় কাজ করতে পারি । না হলে করব না ।" পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের প্রোডাকশনের সঙ্গে কাজ করতেন সুরজিৎ । লকডাউনের আগে এদিক-ওদিক ঘুরে কাজ করছিলেন । যে ডাকত সেখানেই চলে যেতেন । বলেন, "কাল থেকে মনে হচ্ছে আমার কাজ শুরু হবে না । কাজ কম । 35জনের বেশি লোকও নেওয়া হবে না । দেখা যাক ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details