কোরোনা সতর্কতায় জরুরি কিছু কথা, শোনালেন ডাক্তার কমলেশ্বর - কোরোনা রুখতে সতর্কতা ডাক্তার কমলেশ্বরের
কোরোনা সতর্কতা বৃদ্ধিতে কিছু জরুরি কথা জানালেন পরিচালক ও একজন ডাক্তার কমলেশ্বর মুখার্জি ।
kamaleshwar mukherjee on corona treatment
কলকাতা : পরিচালক হওয়ার অনেক আগে থেকেই তিনি একজন চিকিৎসক । তাই কোরোনা ভাইরাস নিয়ে তাঁর মতামত জানাটা খুবই প্রয়োজনীয় । এই কঠিন সময় মানুষকে যতটা সতর্ক করা যায় আর কি ! কথা হচ্ছে ডাক্তার এবং পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে । চলুন, জেনে নেওয়া যাক টলিউডের ডাক্তারবাবু কী বলছেন এই জীবাণু নিয়ে ?
- কমলেশ্বর আমাদের বললেন, " রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার ও স্বাস্থ্য দপ্তরের গাইডলাইন মেনে চলা দরকার । তার মধ্যে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং, যেটাকে আমি বলব ফিজ়িকাল ডিসট্যান্সিং, সেটা বজায় রাখতে হবে । দিনে বারবার হাত ধুতে হবে । ২০ সেকেন্ড করে সাবান দিয়ে বা স্যানিটাইজার দিয়ে ধুতে হবে । এছাড়া, মাস্ক পরতে হবে । যদিও N-95 মাস্ক সব জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে না । তাও মুখ এবং নাক ঢেকে রাখতে হবে । এটা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ । হাত মুখে না দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । তার সঙ্গে এই মুহূর্তে খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে টেস্ট করা । বেশি পরিমাণে টেস্ট করা দরকার । তারপর আইসোলেশন করা দরকার । আমাদের এখানে টেস্ট খুব কম হচ্ছে । সেটা একটা চিন্তার বিষয় ।"
- এই সময় মাস্কের আকাল দেখা গেছে বলে অনেকেই রুমাল দিয়ে মাস্ক বানিয়ে পরছে । এই প্রক্রিয়ার ননুমাও দেখানো হচ্ছে অনেক জায়গায় । এই ধরনের কাপড়ের মাস্ক কি আদৌ কোনও উপকারে লাগছে ? উত্তরে কমলেশ্বর বলেন, "এতে অর্ধেক উপকার হবে । এন-৯৫ মাস্ককে বলাই হচ্ছে ৯৫% ভাইরাস ট্রান্সমিশন আটকাতে পারে বলে । কোভিড-19-এর জন্যে এন-৯৫ মাস্কটাই প্রায়োরিটি । কিন্তু সবার ক্ষেত্রে যদি সেটা না পাওয়া যায়, তাহলেও অন্তত অন্য কোনও জিনিস দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা যায় ।"
- এই সময় কী ধরনের খাবার খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে জানালেন কমলেশ্বর । বললেন, "এর জন্যে সেরকম সাংঘাতিক ডায়েট নেই । সম্পূর্ণ খাবার খাওয়া খুব জরুরি এই সময় । পেট ভরে খাওয়া খুব দরকার । সেক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায় । আলাদা করে বিশেষ কিছু খাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না ।"
- অনেক জায়গায় শোনা যাচ্ছে যে দিনে তিনবার চা খেলে কোরোনাকে আটকানো যাবে । এটা কি সত্যি নাকি মিথ ? জিজ্ঞেস করায় কমলেশ্বর বলেন, "বিষয়টা হচ্ছে চা কিংবা সেই জাতীয় গরম কিছু খেলে, গলায় গরম কিছু গেলে, সেই ওয়ার্ম পরিস্থিততে ভাইরাস ইনএফেক্টিভ থাকে, এরকম একটা ধারণা করা হয়েছে । এই নিয়ে স্টাডিজ়ও রয়েছে । তাই সেটার ভিত্তিতে বলা হচ্ছে । কিন্তু শুধুমাত্র সেটা করে কোনও লাভ নেই । বাকি সবকটা গাইডলাইনই ফলো করতে হবে ।"
- যাঁরা খুব ধূমপান করেন, তাঁদের কি কোরোনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি? উত্তরে কমলেশ্বর বলেন, "স্মোকারদের সম্ভাবনা রয়েছে । স্মোকিং থেকে তো ক্রনিক ব্রংকাইটিসও হয় । যেটাকে আমরা COPD বলি । স্মোকিংয়ের জন্য তাঁদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা তৈরি হয় । যেহেতু কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পর উপসর্গ হিসেবে শ্বাসকষ্ট একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সেই কারণে ধূমপান করা খুব হানিকারক হয়ে ওঠে ।"