- নুসরত জাহান (বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ ও অভিনেত্রী) :
এখন এমন একটা পরিস্থিতি, যে আমাদের সতর্কতা মেনে অনিশ্চয়তার মধ্যেই এগিয়ে যেতে হবে । মুক্তি না পাওয়া বেশ কয়েকটা ছবি রয়েছে, লোকজনের কাজ আটকে রয়েছে, টাকা-পয়সার পেমেন্ট আটকে রয়েছে । ইন্ডাস্ট্রি একটা সেটব্যাকে রান করছে । তার মধ্যে পড়ে সিনেমা হল ও মাল্টিপ্লেক্সের বিভিন্ন সেক্টরের কর্মীরাও । সিনেমা হল খুললে বাকিটা দর্শকদের উপরে । সঠিক সাবধানতা নিয়ে হল খুললে অসুবিধা হওয়া উচিত নয় । আমার একটা ছবি 'ডিকশনারি'র একদিনের শুটিং বাকি রয়েছে, তারপরই পোস্ট প্রোডাকশন । 'SOS কলকাতা' আমার এই বছরের ঘোষিত পুজোর রিলিজ় । দুয়া করি, যে সব যেন ঠিক হয়ে যায় এবং আমরা একটা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাই ।
- অঙ্কুশ হাজরা (অভিনেতা) :
সেফটি প্রটোকল মেনেই এবার সিনেমা হল খুলে দেওয়া উচিত । সবকিছুই আমরা মেনে চলছি । সবকিছুই করা হচ্ছে । সেখানে ছবির এগজ়িবিটরদের ব্যাপারে আমাদের ভাবতেই হবে । এমনিতেই অনেক হল আছে, যেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে । এই কারণেও যদি হলগুলো বন্ধ হয়ে যায়, এত বড় একটা ট্যাক্স পেয়িং ইন্ডাস্ট্রি । খুব মুশকিল হয়ে যাবে । সিনেমা হল খোলা এখন ভীষণভাবে দরকার । কীভাবে সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট করা যাবে, কী কী সতর্কতা মেনে চলা যাবে সেটা ভালো করে দেখতে হবে । রেস্তোরাঁ খুলে গেল, যাবতীয় জিনিসের দোকান খুলে যাচ্ছে বা যাবে । রেস্টুরাঁয় অনেক মানুষ যাচ্ছেন । তাহলে সিনেমা হল খুলবে না কেন ? জিমও খোলা হল কেন ? এতগুলো মানুষের কর্মসংস্থান জড়িয়ে আছে যেখানে, সেখানে আমাদের বাকিদের কথা ভাবতেই হবে । একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হবে ।
ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংসের মুখে, সরব নুসরত-অঙ্কুশরা - নুসরত জাহানের খবর
সেই মার্চ মাসের 17 তারিখ EIMPA হাউজ়ে সিদ্ধান্ত হয় সিনেমা হলগুলি বন্ধ থাকবে । তারপর থেকে আজ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের প্রত্যেকটি সিনেমা হল বন্ধ হয়ে পড়ে আছে । অর্থাৎ, ছবির হল রিলিজ় করা সম্ভবই হচ্ছে না । হল মালিক, ডিস্ট্রিবিউটর ও এগজ়িবিটরদের মাথায় হাত । এই পরিস্থিতিতে ইন্ডাস্ট্রির মানুষদন আর্জি জানিয়ে চলেছেন নিজেদের মতো করে, প্রত্যেকেই চাইছেন হল খুলে যাক । ETV ভারত সিতারার সঙ্গে কথা বললেন নুসরত জাহান ও অঙ্কুশ হাজরা ।
ankush and nusrat on hall reopen