কলকাতা : তিন মাস আগে 'হারানো প্রাপ্তি'-র শুটিং শেষ। এখন মুক্তির প্রহর গুনছে ছবিটি। ছবি নিয়ে বিস্তারিত জানালেন রাজা।
রাজা বললেন, "ছবিটা আসলে রেপ ভিক্টিমের উপর ভিত্তি করে তৈরি করেছি। এই ছবির হিরো সোহম চক্রবর্তী। সোহমের চরিত্রটি বিদেশে থাকত। এদেশে আসার পর, ভিক্টিমের সঙ্গে দেখা হয় সোহমের। মেয়েটি একটি চক্রের শিকার। মেয়েটিকে উদ্ধার করতে গিয়ে এই চক্রের সন্ধান খুঁজে পায় সোহম। দেখানো হয় কীভাবে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয় সেই চক্র থেকে। এবং কীভাবে মেয়েটিকে মূলস্রোতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে সোহম।"
দেশে-বিদেশে শুটিং হয়েছে 'হারানো প্রাপ্তি'-র। পরিচালক জানালেন কলকাতায় এবং লন্ডনে শুটিং হয়েছে। বললেন, "ছবিটি কবে মুক্তি পাবে তা ভালো বলতে পারবে প্রযোজকই। তবে টার্গেট এটাই, দীপাবলীর সময় যেন মুক্তি পায় ছবিটি। আমার ছবি প্রযোজনা করেছে 'গ্রীন টাচ'। আমি ওঁদের কাছে খুব কৃতজ্ঞ, যে এরকম একটি বিষয়কে মান্যতা দিয়ে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন ডাব্বু।" রেপ ভিক্টিমদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা, তাঁদের উদ্ধার করা, এই বিষয়কে নিয়ে কেন কাজ করতে চাইলেন ? এই প্রশ্নে রাজা চন্দ বললেন, "এই মুহূর্তে এই ছবিটা তো করারই ছিল। সংবাদমাধ্যমে প্রতিনিয়ত দেখা যায়, গোটা দেশ জুড়ে ঘটে চলেছে অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো। এর পিছনে যে চক্র, সেই চক্রের গভীরতায় কিন্তু কেউ ঢোকে না। নারী পাচার নিয়ে ছবি করলাম 'কিডন্যাপ', সেটাও তাই। এই ধরনের ঘটনাগুলো আমাদের আশেপাশেই ঘটে চলেছে। কবে যে দেওয়াল টপকে নিজের বাড়িতে ঢুকে যাবে, কেউ কিন্তু তা জানে না। তার জন্য আমরা একটা সচেতনতা বা অ্যাওয়্যারনেস তৈরি করতে পারি। আমি তো প্রতিবাদ করতে পারব না। আমার হিরো করতে পারবেন। সেটার একটা কাল্পনিক জায়গা আছে। আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে। অসম্ভব ভালো লিখেছেন পদ্মনাভ দাশগুপ্ত। গল্প এবং চিত্রনাট্য ওঁরই লেখা। ছবি তৈরি করার আগে রিয়েল লাইফের অনেক মানুষকে আমরা সার্ভে করেছি, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। দেখেছি, কীভাবে ঘটেছে ঘটনাগুলো। বিরাট বড়লোকের ছেলেরা একটা চক্র তৈরি করছে। ফূর্তি বা আনন্দ করতে গিয়ে মেয়েদের সঙ্গে এই ধরনের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে। এরকম ঘটনাও কিন্তু প্রচুর আছে। মেয়েদের তো পণ্য ভাবার কোনও কারণ নেই। আজ মহিলাদের যাতে সঠিক সম্মান দেওয়া হয়, সেই চেষ্টাই আমরা করে চলেছি।"