কলকাতা : সিনেমার হিরো মানেই এখন মাথা ভরতি চুল, পেটানো শরীর, সব কাজে পারদর্শী কোনও সুপারম্যান নয়। বরং এখন বাস্তব জীবনের সমস্যায় জর্জরিত মানুষগুলোই পরদার হিরো। সেরকমই দুই মানুষের জীবন নিয়ে দুই ভাষায় তৈরি হচ্ছে ছবি। হিন্দিতে তৈরি হচ্ছে আয়ুষ্মান খুরানার 'বালা' ও বাংলা তৈরি হচ্ছে ঋত্বিক চক্রবর্তীর 'টেকো'। 'বালা' ছবির গল্প আবার এক বাঙালি পরিচালকের, তিনি পাভেল। অন্যদিকে 'টেকো'-র পরিচালক অভিমন্যু মুখার্জি। তাহলে কোন ছবি কোন ছবি দ্বারা অনুপ্রাণিত? ভিতরে ভিতরে চলছে চাপানউতোর। খোঁজ নিল ETV ভারত সিতারা।
'টেকো' আর 'বালা', কে কার দ্বারা অনুপ্রাণিত? তুমুল দ্বন্দ্ব
একই বিষয় নিয়ে বলিউডে তৈরি হচ্ছে আয়ুষ্মান খুরানার 'বালা' ও টলিউডে তৈরি হচ্ছে 'টেকো'। কোন ছবি কোন ছবি দ্বারা অনুপ্রাণিত? চলছে তুমুল দ্বন্দ্ব।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, 'টেকো' ছবিটি তৈরি হয়েছে এক বছর আগে। কিন্তু, তবুও ছবির মুক্তি স্থগিত রাখা হয়েছিল সুরিন্দর ফিল্মের পক্ষ থেকে। আর কয়েকদিন আগে খবর আসে মুম্বইয়ের 'ম্যাডক্স' প্রযোজনা সংস্থার 'বালা' ছবিটির গল্পও এক। সেই ছবির গল্প আবার এক বাঙালি পরিচালক পাভেলের। 'বালা' মুক্তি পাচ্ছে 7 নভেম্বর ও 'টেকো'-র মুক্তির তারিখ 22 নভেম্বর। এই প্রসঙ্গে কী বললেন পাভেল? ETV ভারত সিতারাকে তিনি বললেন, "ওদের FWA'এর রেজিস্ট্রেশন দেখাতে বল। 'বালা'-র FWA রেজিস্ট্রেশন, মানে যেটা আমার লেখা, সেটা 2016 সালের এপ্রিল মাসে। ওদের সেটা দেখাতে বল। এছাড়া ওদের যদি কোনও কমপ্লেন থাকে, সেটা যেন ওরা আইনিভাবে করে। আর এত অরিজিনাল অরিজিনাল করার কী আছে? হেয়ার ফল একটা ইউনিভার্সাল সাবজেক্ট। সেই নিয়ে যে কেউ ছবি করতে পারে। আমি তো কোনও চিৎকার-চেঁচামেচি করছি না। কারণ তিনটের মধ্যে 'বালা'র ঘোষণা সবচেয়ে আগে হয়েছে। এখানে চিৎকার-চেঁচামেচি করার কিছু নেই। যেই ছবিটা ভালো হবে মানুষ সেটা দেখবে। সবার উত্তেজনা হচ্ছে অন্য কারণে। 'বালা'তে আয়ুষ্মান খুরানা আছে। আমাদের প্রডিউসারের নাম ম্যাডক্স ফিল্মস। আমাদের রিলিজ় সবার আগে। 'টেকো' এক বছর আগেই শুটিং করে রেখে দেওয়া হয়েছে কেন? আর কেউ তো কোর্টে আমাদের নামে কেসও করেছিল। আমরা ওখানে রেজিস্ট্রেশন দেখিয়ে দিয়েছিলাম 2016 সালের এপ্রিল মাসে। সেটা দেখে আর কিছুই ভ্যালিড হয়নি। আমি তো চাই টাক নিয়ে আরও দশটা ছবি হোক। তারপর যেটা সেরা, সেটাই লোকে মনে রাখবে। আর আমি আমার ছবি নিয়ে ভীষণ আশাবাদী।"
অন্যদিকে 'টেকো'র পরিচালক অভিমুন্য মুখার্জির অভিনেত্রী বান্ধবী মানালি দে নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, "অন্য কোনও ভাষার ছবি থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে কোনও ছবি বাংলায় বানানো হলে, সেটা নিয়ে অনেক কথা হয়। কিন্তু বাংলায় যদি কোনও কনসেপ্ট বলিউডের আগে ভাবা হয়, তাহলে সেটার সমাধান হয় না। এটা বাংলা ইন্ডাস্ট্রির কর্মী হিসেবে ভাবতে খারাপ লাগছে... Believe it or not TEKO, A film by Abhimanyu Mukherjee was conceptualized and completed almost 2 years back, but due to unavoidable reasons couldn't see the light of the day but finally it's coming to theatres on 22nd November... The teaser poster is here... pls support original content and above all Bengali cinema... This time we really need your support."