কলকাতা : আমরা প্রত্যেকেই জানি, উত্তমকুমার ছিলেন খাদ্যরসিক । আর সুপ্রিয়া দেবী একজন দারুণ রাঁধুনী । তবে উত্তম কোন রেস্তোরাঁর খাবার খেতে ভালোবাসতেন বা সুপ্রিয়া দেবীর সঙ্গে কোন রেস্তোরাঁয় গিয়ে খেতেন, এইসব দিদার মুখে শুনেছেন শন । মধ্য কলকাতার পার্ক স্ট্রিট এলাকার একটি নামী রেস্তোরাঁ পিটারক্যাট । সেটি ছিল উত্তম-সুপ্রিয়ার প্রিয়, প্রিয় ছিল ফ্লুরিজও ।
ফ্লুরি়জ়ে ব্রেকফাস্ট-স্ন্যাক্সে নিজ়ামের রোল, খাদ্যরসিক অজানা উত্তমের খোঁজ দিলেন শন - supriya devi with uttam kumar
একে অপরকে ভালোবাসতেন উত্তম কুমার এবং সুপ্রিয়া দেবী । জীবনের অনেকগুলো বছর সুপ্রিয়া দেবীর সঙ্গে কাটিয়েছেন মহানায়ক । কিন্তু সুপ্রীয়া দেবীর অনেক আগেই এই দুনিয়া ছেড়ে গেছেন উত্তম । শেষজীবনে প্রিয় মানুষের স্মৃতিই ছিল সুপ্রিয়া দেবীর বেঁচে থাকার অন্যতম সম্বল । অনেক গল্প বলতেন তিনি উত্তমকুমারের ব্যাপারে । সুপ্রিয়া দেবীর মৃত্যুর সঙ্গে সেই গল্পগুলো আজ হারিয়ে যেতে বসেছে । তবে নাতি শন বন্দোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে তা আজও উজ্বল । আজ উত্তম কুমারের জন্মবার্ষিকী । বেঁচে থাকলে বয়স হত 94 বছর । শন ETV ভারত সিতারাকে জানালেন উত্তমকুমার সম্পর্কে কিছু অজানা কথা ।
শন আমাদের বলেন, "দিদি ও দাদু পিটারক্যাটে খেতে খুব ভালোবাসতেন । মাঝেমধ্যে রবিবার সকালের ব্রেকফাস্ট করতে যেতেন সেখানে । আর শুটিং না থাকলে রবিবার সকাল 10 টা থেকে 10:30 টার মধ্যে চলে যেতেন ফ্লুরিজ়ে ।" তাছাড়া, শুটিংয়ের ফাঁকে কোনও স্ন্যাক্স খেতে ইচ্ছে করলে, নিজ়ামের চিকেন রোল খেতেন মহানায়ক । তখনকার দিনে উত্তমকুমার গাড়ি চালাতেন ঠাকুর নামের এক ভদ্রলোক । রোল আনার দায়িত্ব ছিল ঠাকুরেরই ।
জন্মবার্ষিকীতে স্মৃতিচারণা করেই উত্তমকুমারকে শ্রদ্ধা জানালেন শন ব্যানার্জি । শ্রদ্ধা জানাল ETV ভারত সিতারাও ।