কলকাতা : চারদিকে লকডাউন । ইন্ডাস্ট্রির কাজ একেবারে বন্ধ । কয়েকটা ধারাবাহিকও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । বিনোদন জগতের সকলেই শঙ্কিত হয়ে আছেন । কবে শুটিং শুরু হবে কেউ জানেন না । হাতে কাজ নেই, টাকা পয়সা নেই । 31 মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে লকডাউনের মেয়াদ । অনেকেই এই পরিস্থিতিতে দিশা খুঁজে পাচ্ছেন না । হতাশায় আত্মহত্যাও করছেন অভিনেতারা । লকডাউনের ফলে ইন্ডাস্ট্রির কী পরিণতি হতে পারে বা কী অবস্থায় আছে বিনোদন জগৎ ? এই নিয়ে স্বস্তিকার সঙ্গে চলল কথাবার্তা ।
স্বস্তিকা বললেন, "এই বিষয়টা নিয়ে কারও কোনও সঠিক ধারণা নেই । সরকারেরই কোনও কোনও স্থিরতা নেই । তারাই সবসময় অস্পষ্ট কথাবার্তা বলে যাচ্ছে । সেখানে একজন নাগরিক হয়ে কী-ই বা ধারণা থাকবে ? ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপারটা হল, ছোটো থেকে ছোটো কাজ করতেও 50-100 টা লোক লাগে । আমাদের তো আর সোশ্যাল ডিসট্যানসিং করে কাজ করা সম্ভব হবে না । আমার কো-অক্টোরের থেকে আমি যদি 1 মিটার দূরে দাঁড়িয়ে থাকি, অভিনয় কীভাবে করব ? হেয়ার আর মেকআপ তো 1 মিটার দূরে দাঁড়িয়ে করতে পারব না । তাঁদের তো ঘাড়ের উপর উঠেই কাজ করতে হবে । আমাদের জন্য ইমিডিয়েট মানুষই তো হেয়ার, মেকআপ, কস্টিউম ।"
এখন OTT প্ল্যাটফর্মেই অনেক ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা চলছে । সেই সব ছবি, যেগুলো সিনেমা হলে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল । তাই নিয়ে হল মালিক, ডিস্ট্রিবিউটারাও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন । হিন্দি ছবি, যেমন সুজিত সরকারের 'গুলাবো সিতাবো' মুক্তি পাবে OTT প্ল্যাটফর্মে । মুক্তি পাবে বিদ্যা বালানের 'শকুন্তলা দেবী : দ্য হিউম্যান কম্পিউটার'-ও । এই বিষয় স্বস্তিকা আমাদের বলেন, "খানদের মতো প্রযোজনা সংস্থা আছে যাঁদের, তাঁদের ছবির ডিস্ট্রিবিউশনে নিজেদের মতামত থাকে । আমাদের মতো অভিনেতাদের সত্যি কোনও বক্তব্য থাকে না এই ব্যাপারগুলোতে । এখন আমি যদি দেখি একটা বড় ছবিতে কাজ করেছি, চাইব সেটা হলে রিলিজ় করুক । সিনেমা হল ও থিয়েটারের নিজস্ব চার্ম আছে । ওই লার্জার দ্যান লাইফ অভিজ্ঞতা, বাড়িতে যত বড় টিভিই থাকুক না কেন, পাওয়া সম্ভব না । আমি সবসময় চাইব আমার ছবিটা বড় পরদায় দেখানো হোক । প্রযোজকদের কথাও তো সকলকে ভাবতে হবে । কোটি কোটি টাকার লগ্নি করে বছরের পর বছর যদি তাঁদের বসে থাকতে হয়, সেটা মানতে পারা মুশকিল ।"