কলকাতা, 27 ফেব্রুয়ারি :সামনেই 'আন্তর্জাতিক নারী দিবস'। আর নারী দিবস মানেই দিকে দিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল নারীদের সম্মানিত করা, তাঁদের কৃতকর্ম নিয়ে সুচারু বাক্যের প্রয়োগ ইত্যাদি । আর বাকি দিনগুলো ? সেই বাকি দিনগুলোতে তাঁদের জন্য ঘরে বাইরে থাকে রাশি রাশি দায়িত্বের ভার । হাসিমুখে মেনে নিয়ে সময়েরটা সময়ে না করলেই অপমান, কটুকথা, দোষারোপ তাদের জন্য নিশ্চিত । এই চিত্র ঘরে ঘরে । ব্যতিক্রম ঘটে না বলব না (Sudiptaa Chakraborty On New Role)।
বিয়ের পর কত মেয়ের হারিয়ে যায় কত গুণ, শখ-আহ্লাদ । আবার সম্বন্ধ দেখতে এসে পাত্রীর গলায় গান না শুনে পাত্রপক্ষ নড়বেই না । আর একবার শ্বশুর ঘরে পা দিয়ে দেখুক মেয়েটি, তার গান শুনলে কান ঝালাপালা হবে বরের পরিজনদের । বর যদি কোনওভাবে সাপোর্ট করতে এগিয়ে আসে বউকে, তা হলে তো আর রক্ষে নেই । বরকে তখন কত কথা যে শুনতে হয় নিজের পরিজনদের কাছে । সেই বেচারাও তখন হয়ত রানি মা'র কায়দায় বলে ওঠে "রক্কে করো রঘুবীর"।...এমনই সব ঘটনাকে এবার চিত্রনাট্যে বন্দি করেছেন পদ্মনাথ দাশগুপ্ত । ছবির নাম 'হারিয়ে যাওয়ার আগে' (Hariye Jaowar Aage)। ছবিটির পরিচালনা করেছেন সুদেষ্ণা রায় এবং অভিজিৎ গুহ ।
তিনজন নারীর তিনরকমের লড়াই এই ছবির মূল বিষয় । একজন গৃহবধূ, অন্যজন পুলিশ অফিসার আরেকজন কিশোরী । গৃহবধূ শুচিস্মিতা শ্বশুরবাড়িতে এসে হারিয়েছে তাঁর নৃত্যশৈলী । পুলিশ অফিসার রুনার বিয়েটা সুখকর হয়নি । তাই সে ঘুরে দাঁড়িয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে । বাড়ির লোক তাকে ফের বিয়ে করে সংসারি হতে বললে সে রাজি হয় না । সে মা'কে বলে, আমি নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি এবং থানার ওসি হয়েছি এটাই কি যথেষ্ট নয় তোমাদের কাছে ? রুনার মায়ের বক্তব্য, বয়স বাড়ছে । বিয়েটা করে নিলে শান্তি ।