পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / sitara

পূর্বা দামের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সংগীত জগৎ

আজ সকালে নিজের বাড়িতে ঘুমের মধ্যেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন পূর্বা দাম । বয়স হয়েছিল 85 বছর । তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সংগীত জগৎ ।

sdf
sdf

By

Published : Sep 19, 2020, 1:19 PM IST

কলকাতা : পূর্বা দামের প্রয়াণে শোকের ছায়া বাংলা সংগীত জগতে । শোকপ্রকাশ করেছেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, হৈমন্তী শুক্লারা ।

পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী ETV ভারতকে বলেন, "পূর্বা দামের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপ ছিল না আমার । তবে আমি ওঁর গানের ভক্ত ছিলাম খুব । কী সুন্দর রবীন্দ্র সংগীত গাইতেন । এই মানুষগুলো চলে যাচ্ছে । সব শূন্য হয়ে যাচ্ছে । আমাদেরও তো বয়স হচ্ছে । তবে আমি খুব ভালো আছি । ভালো থাকি সব সময় ।"

ETV ভারতকে হৈমন্তী শুক্লা বলেন, "হাসিখুশি ছিলেন । আমাকে খুব ভালোবাসতেন। বড্ড ভালো ছিলেন দিদি। যেচে যেচে আমাদের সঙ্গে কথা বলতেন। আমরা মাঝে মাঝে ভাবতাম কী জানি কেমন মুডে থাকবেন। ওঁর গান আমার ভীষণ পছন্দের ছিল। অনেকে আলাদা রকম স্টাইলে অনেকে রবীন্দ্র সংগীত গায়, সেসব ওঁর ছিল না। খুব সুন্দর গাইতেন। কী সুরেলা গলা ছিল । আমি পূর্বাদিকে খুব ভালোবাসতাম । চলে গেলেন, এটাই কষ্ট লাগছে । আমার সঙ্গে খুব সুন্দর সম্পর্ক ছিল । মানুষটাও চমৎকার ছিলেন।"

আজ পূর্বা দাম, গতকাল শর্বরী দত্ত । পরপর মৃত্যুর খবর শুনতে শুনতে রীতিমতো ক্লান্ত হৈমন্তী শুক্লা । বলছেন, "কেমন আছেন, কেউ জিজ্ঞেস করলে এখন আমি বিরক্ত হই । এই পরিস্থিতিতে ভালো থাকা যায় । এই বছরটা বিষাক্ত। আর কয়েক মাস বাকি আছে । গেলে বেঁচে যাই । খুব খারাপ একটা সময়ের মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি । রোজ কারও না কারও চলে যাওয়া। শর্বরীর মৃত্যুতেও খুব আঘাত পেয়েছি । টিভিতে বসে সারাদিন ছেলে-বউমার কথা শুনছিলাম । দোতলা থেকে একতলায় ফোন করে মায়ের খবর নিতে হয় ? কী ধরনের সন্তান এঁরা । মায়ের প্রতি কোনও যত্ন ছিল না । এসব দেখে রাতে ঠিক করে ঘুমোতে পারিনি । আমিও তো শর্বরীর মতো একা মানুষ । তাই মাঝে মাঝে ভয় করে । তবে একটা ব্যাপার নিয়ে বলতেই হয়, আমি যে বিয়ে করিনি, সন্তান নেই, সেটাই ভালো । আমার গান, শ্রোতাদের নিয়ে ভালো আছি।"

ETV ভারতকে রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পূর্বাদি চলে যাওয়ায় যুগের অবসান হল । এত অমায়িক এবং একজন ভালো মনের সংগীতশিল্পী খুব কমই পাওয়া যায় । চারদিকে যখন দেখছি, যে শিল্পীদের মধ্যে এত রেষারেষি চলছে, সেখানে পূর্বাদির মতো মানুষের সত্যিই ভীষণ প্রয়োজন ছিল । কোনওদিন সেভাবে তিনি লাইম লাইটে আসতে চাননি । সেটার পিছনে তিনি দৌঁড়াতেন না । আমাকে ব্যক্তিগতভাবে স্নেহ করতেন । এটা একটা বিশাল লস । সময়ের সঙ্গে তো প্রত্যেক মানুষকেই চলে যেতে হবে । এটাই খারাপ লাগে, যে মধ্য মেধার যুগে যে মানুষগুলো আমাদের মাথার উপর আশ্রয় ছিলেন, তাঁরা চলে যাচ্ছেন । আমার অনেক শ্রদ্ধা পূর্বাদিকে ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details