কলকাতা: তাঁর অভিনয় প্রতিভায় দশকের পর দশক ধরে মেতে রয়েছে আপামর বাঙালি। আজও সেই মুগ্ধতার ঘোর কাটেনি। সেই অশীতিপর বাংলা ছবির কিংবদন্তী অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে 'হীরালাল সেন জীবনকৃতি সম্মান' দিয়ে ভূষিত করল বেঙ্গল ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন চেম্বার অফ কমার্স। এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে 115 বছরের বাংলা ছবির পৃষ্ঠপোষক আরোরা ফিল্মসের বর্তমান কর্ণধার অঞ্জন বসুকে 'বি এন সরকার' পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশর জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী কাবেরী সারোয়ারকে 'রাজ রাজ্জাক পুরস্কার'-এ ভূষিত করা হয়। বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তীকে 'দেবকী কুমার বোষ সম্মান' প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডে, নাট্য ব্যক্তিত্ব তথা বিধায়ক ব্রাত্য বসু, অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী, বিশিষ্ট বাংলাদেশী অভিনেতা আলমগীর, সংগীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র, চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। প্রসেনজিৎ বলেন, "আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি যে এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সাবিত্রী চ্যাটার্জিকে আমরা আজীবন কাজের জন্য সম্মান তুলে দিলাম। তিনি এই সকল সম্মানের অনেকে ঊর্ধ্বে। কারণ ভারতের যে ক'জন অভিনেত্রীদের নাম করতে হয় তাঁদের মধ্যে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় অন্যতম। আজকে সাবিত্রী চ্যাটার্জি যেটা বললেন যে আমরা যখন ঠিক করি কোনও মানুষকে সম্মান দেব, হয়তো সেই সময় সেই মানুষটার আর কোনও মূল্য থাকে না, বা হঠাৎ হয়তো সেই মানুষটা আমাদের ছেড়ে চলে যান। এটা শুধু এপার বাংলা নয় ওপার বাংলাতেও হয়। আর আজকে সাবিত্রী আন্টির পাশাপাশি ওপার বাংলার যে সমস্ত বিশিষ্ট মানুষজনকে আমরা সম্মান জানাতে চলেছি তাঁরা আমাদের অনেক ভালো ভালো কাজ এবং জীবনে এগিয়ে চলার জন্য অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।"