কলকাতা : রোজ়ভ্যালি কাণ্ডে ED-র তলব পাওয়ার পরই প্রসেনজিৎকে KIFF-এর চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জন উঠেছিল। তাছাড়া KIFF-এর শেষ কয়েকটি মিটিংয়েও দেখা যায়নি প্রসেনজিৎকে। তাই কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, খবর ছিল এমনই। তবে একটি মেলের মারফৎ অভিনেতা ETV ভারত সিতারাকে জানালেন যে, তিনি এখনও কোনও অফিশিয়াল চিঠি পাননি।
প্রসেনজিতের পক্ষ থেকে পাওয়া চিঠির বক্তব্য অনুযায়ী, "KIFF-এর চেয়ারপার্সন হিসেবে আমি কয়েকটা মিটিংয়ে থাকতে পারিনি ঠিকই। আমি সেই সময় উত্তরবঙ্গ ও লক্ষ্ণৌতে শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তবে মিটিংয়ে না থাকার কারণে আমি কোনও অফিশিয়াল চিঠি বা কমিটির পক্ষ থেকে কোনও ধরনের ইঙ্গিত পাইনি।"
প্রসেনজিৎ মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্য়ানার্জির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও। তিনি লিখেছেন, "গুজব উঠেছিল যে, আমার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই। এটা সম্পূর্ণ ভুল। আমাদের দু'জনের কাজের ব্যস্ততার কারণে আমরা দেখা করতে পারি না ঠিকই, তবে দেখা হলে অবশ্যই আমরা আগের মতোই কথা বলব, একে অপরকে অভিবাদন জানাব।"
রাজনীতিতে কি যোগ দিচ্ছেন প্রসেনজিৎ? এই প্রশ্ন অনেকেরই মুখে। বিশেষ করে বাংলা ছবির দুনিয়া থেকে একাধিক ব্যক্তিত্ব যখন সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন। তবে প্রসেনজিতের উত্তর, "আমার কোনও প্ল্যান নেই রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার। আমায় নিয়ে যে সমস্ত গুজব ছড়িয়েছে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে, সব মিথ্যে।"
যদিও এই গুঞ্জন নতুন নয়। প্রসেনজিৎ লিখেছেন, গত 6-7 বছর ধরেই এই খবর ছড়াচ্ছে বিভিন্ন ভাবে। অভিনেতা আজ সরাসরি জবাব দিয়ে দিলেন তাঁকে ঘিরে তৈরি হওয়া সমস্ত গুজবের।